অতীত অস্বীকার করে ইতিহাস নির্মাণ সম্ভব নয়: বাংলাদেশ ন্যাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, মার্চ ২, ২০২২ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, মার্চ ২, ২০২২ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
অতীত অস্বীকার করে সঠিক ইতিহাস নির্মাণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তারা বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নির্মাণে যাদের অবদান আছে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস শুধু ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চ নয়। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্মাণে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোরাওয়র্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তৎকালীন ছাত্র নেতা আ.স.ম. আব্দুর রব, শাহজাহান সিরাজসহ যাদের অবদান আছে, তাদের স্বীকৃতি দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
বুধবার (২ মার্চ) ‘২মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস স্মরণে’ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এক দল বা এক ব্যক্তির অবদান নয়। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে অনেক নায়ক-মহানায়কের অবদান রয়েছে। যদিও এখন স্বাধীনতার সব ইতিহাস ছিনতাই করার অপচেষ্টা চলছে। বিবেকবর্জিত, চাটুকার ও সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবী নামধারীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে স্বাধীনতা ইতিহাসকে বিকৃত করছে। অন্ধ দলীয় আনুগত্যের কারণেও ইতিহাস বিকৃত করছেন কেউ কেউ।
১৯৭১ সালে ২ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রথম বাংলাদেশে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আব্দুর রবের উদ্যোগে সাড়া দিয়েছিলেন আমজনতা। এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত- যোগ করেন তারা।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস যদি সঠিকভাবে নির্মাণ করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছ থেকে আমরা মুক্তি পাবো না। তাই আমাদের উচিত সব কৃতিত্ব নিজেদের ভাণ্ডে জমা করার প্রবণতা বাদ দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
জনতার আওয়াজ/আ আ
