অবরোধে অগ্নিসংযোগ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে মাঠে ডিএমপি
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, নভেম্বর ৮, ২০২৩ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, নভেম্বর ৮, ২০২৩ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ
নিউজ ডেস্ক
এক দিনের বিরতির পর টানা দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো, যার প্রথম দিন চলছে আজ। ২৮ অক্টোবর’র পর থেকে শুরু হওয়া হরতাল ও অবরোধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, পিকআপসহ অনেক যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই এসব বিষয় মাথায় রেখে আজ ও আগামীকাল’র অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে কারা এসব অগ্নিকাণ্ড ঘটাচ্ছে এবং কিভাবে আগুন দিচ্ছে এই ধরণের ঘটনাগুলোকে গুরুত্বসহকারে প্রাধান্য দিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যানবাহনে আগুনের ঘটনা কমিয়ে আনতে গোয়েন্দা সদস্যদের উপস্থিতি ও নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। অবরোধ শুরুর আগের দিন সন্ধ্যা ও রাতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটানো হয়। এসব বিষয়কেও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুণ অর রশীদ বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের ধরতেও অভিযান চালছে। আরও দুই দিন তারা যে অবরোধের ডাক দিয়েছে, সেখানেও আমাদের আগাম তথ্য আছে। আমাদের পুলিশের প্রত্যেক সদস্য বিভিন্ন এলাকায় থাকবে। এ ছাড়া যারা মামলার আসামি এবং যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি আমরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিঞা ব্রেকিং নিউজকে বলেছেন, একেবারে জাল ফেলে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাদের তো সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরও সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে। চোরাগোপ্তা হামলাসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ হচ্ছে। দেখা গেছে, যে স্থানটি নিরাপদ মনে হচ্ছে, সেখানে এসব বেশি হচ্ছে। তাই এ মুহূর্তে তারা যে পরিমাণে টহল দিচ্ছে, টহল আরও বাড়াতে হবে।