আগামীকাল ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ২, ২০২৪ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শনিবার, মার্চ ২, ২০২৪ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ
জনতার আওয়াজ ডেস্ক
আগামীকাল রবিবার (৩ মার্চ) শুরু হতে যাওয়া চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ডিসি সম্মেলন-২০২৪ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ৩ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে বুধবার (৬ মার্চ)। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ ইত্যাদি বিষয়।
তিনি বলেন, এবারের ডিসি সম্মেলন ৩ থেকে ৬ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। গত সম্মেলন তিন দিনব্যাপী ছিল। প্রধান বিচারপতি এবং স্পিকারের সাথেও জেলা প্রশাসকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সদয় নির্দেশনা গ্রহণ ও মতবিনিময় করবেন। এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় বিষয়ক অধিবেশন সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবারের সম্মেলনে সর্বমোট ৩০টি অধিবেশন রয়েছে। কার্য-অধিবেশন ২৫টি (১টি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, ১টি স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় এবং ১টি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সদয় নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানিকতা ০২টি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অংশগ্রহণকারী কার্যালয়: ১টি ((প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়)। একই সঙ্গে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫৬টি প্রস্তাবনা জমা পড়েছে। প্রাপ্ত প্রস্তাবসমূহের জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটন বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পড়েছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২২টি প্রস্তাব। গত বছরও একইভাবে ডিসিরা প্রায় আড়াইশ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধান প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো হলো: ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন রয়েছে।
এছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা এবং বিভাগীয় কমিশনাররা ডিসিদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। এজন্য সম্মেলনের প্রথম দিন (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘উন্নয়নে মাঠ প্রশাসন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা।