আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ১:০৮ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ১:০৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ আফগানদের বিরুদ্ধে দাপুটে এক জয় পেয়েছে। আর সুপার ফোরে উঠতে ৫৫ রানে জয় পাওয়া দরকার ছিল বাংলাদেশের। বাংলাদেশ জিতল তার চেয়ে আরও বড় ব্যবধানে। আর এই জয়ে গতবারের আক্ষেপকে বিদায় করে সুপার ফোরে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ব্যাট-বলে আফগানদের কোনো পাত্তা না দিয়ে উঠে গেছে গ্রুপের শীর্ষে। তাই শেষ ম্যাচে ফলাফল যা-ই হোক, তাতে সুপার ফোর আটকাবে না বাংলাদেশের।
অন্যদিকে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। তাতে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা জাগে। পরের ম্যাচে হারলেই বিদায়! সেই আশংকা মাথায় নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
এই বাঁচা-মরার ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
এর জাবাবে আফগান ব্যাটাররা মাত্র ২৪৫ রানে অলআউট হয়। যাইহোক এ জয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তির নিশ্বাস বইছে।
এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামায় টিম ম্যানেজম্যান্ট। ওয়াডেতে এর আগে একবারই ওপেনিং করেন তিনি। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে। সে ম্যাচে লিটনের সঙ্গে ১২০ রানের ওপেনিং জুটিতে মিরাজের অবদান ছিল ৫৯ বলে ৩২ রান।
ওপেনিং মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গী মিরাজ। সর্বশেষ ৬ ম্যাচে এটি পঞ্চম ওপেনিং জুটি। দুইজন মিলে স্কোর বোর্ডে তোলেন ৬০ রান। বেশ ভালোই শুরু করছিলো তবে দশম ওভারে ৩২ বলে ২৮ রান করা নাঈমকে ফিরে এই জুটি ভাঙেন মুজিব উল হক।
এবার ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে আনা হয় তাওহিদ হৃদয়কে। কিন্তু দুর্বল ব্যবধানে ডানহাতি এই ব্যাটারকে (০) ফেরান গুলবাদিন নাঈব। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিরাজের ব্যাটে ঘুরে দাড়ায় টাইগাররা। ৬৫ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক করেন মিরাজ। আর অর্ধশতক করতে শান্ত খরচ করেন ৫৭ বল।
ধীরে ধীরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন দুজন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন মিরাজ। ১১৫ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কা এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এরপর শতক করেন শান্ত। তিনি খেলেন ১০১ বলে ৯টি চার ও দুটি ছক্কা এই শতক করেন। একই ইনিংসে পঞ্চমবারের মতো শতক পেলেন বাংলাদেশের দুজন ব্যাটার।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ এই কীর্তি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস, ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
মিরাজ-নাজমুল মিলে গড়েন ১৯৪ রানের জুটি। এশিয়া কাপে যে কোনো উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও জুনাইদ সিদ্দিকের ১৬০ রানের জুটিটি ছিল সর্বোচ্চ।
মুজিবকে ছক্কা হাঁকানোর পর ১১৯ বলে ১১২ রানের রির্টায়ার হার্ট নেন মিরাজ। আর শান্ত (১০৪) ফিরেন রান আউট হয়ে। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম (১৫ বলে ২৫), সাকিব আল হাসান (১৮ বলে ৩২*) ও অভিষিক্ত শামীম হাসান পাটোয়ারীর (৬ বলে ১১)।
অন্যদিকে, আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ইবরাহীম জাদরান। জাদরানকে ৭৫ রানে আউট করে ঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ। তবে দলের হাল ধরেন হাসমততুল্লাহ শহীদি। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসমত ৫১ রান করে আউট হয়ে ঘরে ফেরে। পরে আফগানরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। ফলে ৮৯ রানে অল আউট হয় রশিদরা।
জনতার আওয়াজ/আ আ
