আবারও সিন্ডিকেটের শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, মে ৩, ২০২৩ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, মে ৩, ২০২৩ ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবাজারে স্থায়ী ভবন নির্মাণের খবরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাদের কেউ কেউ মার্কেট নির্মাণ হলে দোকান বরাদ্দ পাবেন কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা করছেন। আবার কেউ আদৌ মার্কেট নির্মাণ হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের শঙ্কা অতীতের ন্যায় মার্কেটের ওপর কর্তৃত্ববাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। যদিও নিয়ন্ত্রক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, এর আগেও বঙ্গবাজারে স্থায়ী ভবনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় ভবন নির্মাণে হোঁচট খেয়েছে সিটি করপোরেশন। নিয়ন্ত্রক সিন্ডিকেট এবারও সক্রিয় রয়েছে। স্থায়ী মার্কেট নির্মাণ হলে চাঁদাবাজি, দোকান বিক্রিসহ অবৈধ উপার্জন লাটে উঠবে তাদের। এ কারণেই তারা যেকোনো কৌশলে স্থায়ী ভবন নির্মাণে বাদ সাধতে পারে-এমন আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এ মাসেই মার্কেট নির্মাণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ব্যবসায়ী সমিতি মঙ্গলবার ৯ সদস্যের একটি তালিকা দিয়েছেন মেয়রের কাছে। সময় নির্ধারণ করে তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ইতোপূর্বে ১০ তলা ভবনের নকশাসহ সবকিছু চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এদিকে ঈদের পর বঙ্গবাজারে অস্থায়ী চৌকিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে তপ্ত রোদ-গরমে খোলা আকাশের নিচে তারা বসতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার আর সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়। তখন ওই জায়গার ব্যবসায়ীদের সরিয়ে বঙ্গবাজারে অস্থায়ীভাবে বসানো হয়। সেই সময় কাঠ ও টিন দিয়ে গড়া স্থাপনায় বসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এরপর আর এই জায়গা থেকে নড়ানো যায়নি কাউকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওই দুই মার্কেটে খুব কম দোকানই পেয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। সব দোকান গেছে রাঘব বোয়ালদের পেটে।
জনতার আওয়াজ/আ আ
