আব্বাসের পর আলালও নাশকতার মামলায় রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, নভেম্বর ১, ২০২৩ ৭:৪৮ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, নভেম্বর ১, ২০২৩ ৭:৪৮ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের পর দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় আলালের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
এ দিন আলালকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানার এসআই ফরহাদ মাতুব্বর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
বিকেলে অস্ত্র ছিনতাই ও নাশকতার অভিযোগে শাহজাহানপুর থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন।
শুনানি চলাকালে বিচারকের অনুমতি নিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। শুধু বিএনপিকে নয়, আওয়ামী লীগকেও নেতৃত্বশূন্য করতে চায়। একসময় দেশ নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে। আমি ভবিষ্যদ্বাণী বলে দিলাম।’
আব্বাস বলেন, ‘আমি ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করি। বহু মিছিল করেছি। আন্দোলন করে এরশাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। এত বছরে এমন কোনো মামলা হয়েছে কি না তা দেখিনি।’
তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনে মির্জা আব্বাসের বয়স ৫৭ বছর উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমার বয়স ৭৪ বছর। তদন্ত কর্মকর্তা যেটা লিখেছেন সেটা ঠিক নয়।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শাজাহানপুরের শহীদবাগ এলাকা থেকে আলালকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। কাছাকাছি সময়ে একই এলাকা থেকে গ্রেফতার হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
গত শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের এক সদস্য এবং এক যুবদল নেতা নিহত হন। এই ঘটনায় নাশকতার একাধিক মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলায় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বাইরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।
এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর শীর্ষ নেতারা কেউই প্রকাশ্যে আসছেন না। নতুন করে দায়ের করা নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন এমন আশঙ্কায় কৌশলে নিজেদের আড়ালে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জনতার আওয়াজ/আ আ
