আমাদের আবেগ অস্তিত্বের জায়গা ভাষা আন্দোলন : নুর - জনতার আওয়াজ
  • আজ সকাল ৭:২১, বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

আমাদের আবেগ অস্তিত্বের জায়গা ভাষা আন্দোলন : নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: শুক্রবার, মার্চ ১১, ২০২২ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, আমাদের আবেগ অস্তিত্বের জায়গা ভাষা আন্দোলন। সেটি নিয়ে মাত্র ৩টি গান। বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতাকে নিয়েও মাত্র ৩টি গান। ব্যক্তিগতভাবে যার যতটুকু মূল্যায়ন; এখন বঙ্গবন্ধুর কথা বললে সমস্যা। বাংলাদেশে বড় অংশ আছে, যারা বঙ্গবন্ধুর দল করে না তারা নাখোশ হয়। ব্যালেন্স করে বলতে হয়, আবার তাদের নেতাদের কথাও। আমরা বলি, যার যতটুকু সম্মান আমরা সেটুকু দিতে চাই।

তিনি বলেন, এখন ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক হিসেব নিকেশ করে বলতে হয়। কারণ ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে দিবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী বানিয়ে দিবে। বর্তমান সরকার চেতনার খুরধার বাহক। কোনো মতেই চেতনায় আঘাত লাগলেই তারা ধরে ফেলে। তাদের মতে চেতনা যে কি সেটা আমরা সবাই জানি।

শুক্রবার (১১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাঙলা উত্তরাধিকার আয়োজিত ভাষা আন্দোলনের স্থাপতি প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের ৩১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে `বাঙলা ভাষা: সংকট ও সমস্যার সমাধান করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, ভাষা সৈনিক গাজিউল হকের কথায়, সামগ্রিক ভাবে ভাষাকে আন্দলোন যে যদি ছন্দময় একটি কাব্যে বিবেচনা করা যায়। তাহলে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম সে কাব্যের উপেক্ষিত নায়ক। ভাষা আন্দোলনে তিনি নায়ক, কিন্তু উপেক্ষিত। আমরা এখন দেখি, ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে পড়াশোনা নেই। ইতিহাস সম্পর্কে পড়াশোনা নেই এমন বিভিন্ন জনকে ভাষা আন্দোলনের নায়ক বানিয়ে দেন।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে একজন ব্যক্তি সাংবিধানিক পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের অবস্থা নিয়ে বই লিখেছেন। কিন্তু প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন। তাই আমি বলতে চাই, ভাষা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ভাষার তার যায়গায় আছে। সমস্যা আমাদের ব্যবহারকারীদের, আমাদের প্রয়োগে।

নুর বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনার ধুয়ে মুছে চকচক করা হয়। তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু অন্য সময়ে কুকুর বিড়াল আর মাদকাসক্তদের আড্ডা খানায় রুপান্তর হয়ে যায়। সেগুলো দেখার কেউ নেই। এক দিনের কৃত্রিমতা দিয়ে কি হবে। যারা সম্মান প্রাপ্য তাদের সম্মান দেওয়া হয় না।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাঙলার উত্তরাধিকারের আহ্বায়ক আবু তৈয়ব হাবিলদার, ঢাবি শিক্ষক সাখাওয়াত আনসারী, সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ