ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভলনোভাখা শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি - জনতার আওয়াজ
  • আজ দুপুর ১:০৪, সোমবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভলনোভাখা শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: শনিবার, মার্চ ৫, ২০২২ ৮:০২ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: শনিবার, মার্চ ৫, ২০২২ ৮:০২ পূর্বাহ্ণ

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনের মারিওপোল ও ভলনোভাখা শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল রাশিয়া। বেসামরিক নাগরিকদের এলাকা ছাড়তে মানবিক কারণে শনিবার (৫ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে এ বিরতি কার্যকর হবে। রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম আরটি এবং স্পুটনিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের গোমেল অঞ্চলের অজ্ঞাত এক স্থানে তিন ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। আলোচনায় রাশিয়াকে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় রাজি করানো হয়, যেন বেসামরিক মানুষজন গোলযোগপূর্ণ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারে এবং তুমুল লড়াইয়ের জায়গাগুলোতে মানুষকে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলও পোডোলিয়াক জানান, দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। আলোচনায় ক্রিমিয়া ও ডনবাসকে স্বীকৃতি দেওয়ার রুশ দাবি ইউক্রেন মানতে পারেনি বলেও জানানো হয়।

শুক্রবার (৪ মার্চ) ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিখাইলও পোডোলিয়াক টুইট বার্তায় বলেন, দ্বিতীয় দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য যে ধরনের সফলতা দরকার ছিল; তা আসেনি। কেবল মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য একটি সফলতা আছে।

তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে নিতে আমরা যৌথভাবে একটি নিরাপদ মানবিক করিডোর স্থাপনে একমত হয়েছি। যাতে তীব্র লড়াই চলা অঞ্চলগুলোতে তাদের খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ সহজ হয়।

ইউক্রেনের এ কর্মকর্তা বলেন, কোনো কোনো স্থানে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার স্বার্থে অস্থায়ী অস্ত্রবিরত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ভবিষ্যতে দুপক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছেন। এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলাপ করতে চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ায় হামলা চালাচ্ছি না, তেমন কোনো পরিকল্পনাও নেই। আপনারা আমাদের কাছে কী চাচ্ছেন? পুতিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে বসুন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর দেশটির একের পর এক শহর দখলে নেয় রাশিয়া। ইউক্রেনের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে পুতিন বাহিনী। তবে এতে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়।

ইউক্রেনে চলমান বিশেষ সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত কতজন রুশ সেনা হতাহত হয়েছেন, প্রথমবারের মতো তার হিসাব প্রকাশ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের দাবি, ইউক্রেন অভিযানে ৪৯৮ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৯৭ জন। একই সঙ্গে ইউক্রেনের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ