ইতিহাস তারেক ও কোকো’কে শিশু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাক্ষী দেয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

রাকেশ রহমান ( কলামিস্ট ও প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক বাংলাদেশ সত্যের শক্তি )
এক দশক পরে আবারও নিউজটি পাঠকদের অনুরোধে করা হল
পৃথিবীর ইতিহাসে আরও একটি বিরল ও বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহৎতম জানাযা হিসেবে শিশু মুক্তিযোদ্ধা আরাফাত রহমান কোকো’র জানাযা প্রমাণ করে দিলো বাংলাদেশের কোটি জনতার হৃদয়ে মিশে আছে জিয়া পরিবারের এই চার মুক্তিযোদ্ধার নাম।
মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ বাংলাদেশ, গণতন্ত্র বিজয়ীদের দেশ বাংলাদেশ, পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যে দেশ লড়াই করে বিজয় অর্জনের পরেও গণতন্ত্রের স্বাধীনতা পায়নি। গণতন্ত্রের স্বাদ পেতে বার বার বাঁধা পেতে হয়েছে ও এখনও হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিকামী ও শান্তি প্রিয়, বাংলাদেশের মানুষ নিরীহ ও প্রতিবাদী। সময়ের প্রয়োজনে বার বার প্রতিবাদ করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। তবে প্রতিবাদের কিছু ধরণ রয়েছে যেমন- বহিঃপ্রকাশ।
বহিঃপ্রকাশের মাধ্যমে বুঝে নিতে হয় জনগণ বা বাংলাদেশের মানুষ কি চায়? আর যদি বহিঃপ্রকাশ থেকে বুঝেও ৭১’ এর পাকিস্তানীদের মতো জোর করে বাংলাদেশীদের উপর ক্ষমতাসীনরা তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন চাপাতে চেষ্টা করে তাহলে ফলাফল তাই হবে যেটা ৭১’এ ঘটেছিলো। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশীরা বার বার তাদের বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছিল। সেই বহিঃপ্রকাশকে থামিয়ে দিতে যে নির্যাতন, নিপীড়ন ও হত্যা শুরু করেছিলো পাকিস্তানীরা শুধু তারই প্রতিবাদে ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়। ১৯৭৫ এর পরবর্তী সময় তৎকালীন সফল মেজর জিয়া যে ভাবে বাংলাদেশকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো সেটা গোটা বিশ্বের দরবারে আলোচিত হয়েছিলো তারই প্রতিফলন বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জানাযায় চোখের পানি ফেলে শেষ সম্মান প্রদর্শন করে।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের জানাযায় যে পরিমাণ জনসাধারণ উপস্থিতি হয়েছিলো তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বৃহৎতম আর বাংলাদেশের ইতিহাসে অদ্বিতীয়।
তারপর প্রথম স্বাধীনতা যোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সুদীর্ঘ আন্দোলনে বিজয় এনে দিলো বাংলাদেশের গণতন্ত্র।
তাই বাংলাদেশের জনগণ ৯১’ সালে বি এন পি কে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে তাদের প্রতিফলন দেখিয়েছিল।
আবার ফিরে এলো সেই পাকিস্তানী আমলের মতো অন্ধকার যুগ বাংলাদেশে। স্বাভাবিক নিয়ম ভেঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিলুপ্ত করে এক নায়ক তন্ত্র বা স্বৈরাচারী সরকার ব্যবস্থা চালুর দিকে ধাবিত হচ্ছে আজ বাংলাদেশ।
যদিও বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন অনীহার সাথে বর্জন করেছে , এতেও যদি জনগণের বহিঃপ্রকাশ বুঝতে কষ্ট হয় তবে আর কিভাবে বাংলাদেশের জনগণ বুঝাবে?
২০১৪ এর ৫ই জানুয়ারির পর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দল শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের মতামত প্রকাশের মাধ্যমে বিরোধিতা জানিয়ে আসছিলো।
এছাড়াও বিপুল পরিমাণ লোক সমাগত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার জনসভা গুলোতে একাত্মতার মাধ্যমে তাদের মতামতের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
যা শুধু আমরা বাংলাদেশের জনগণই নয় বরং বহিঃবিশ্বও দেখেছে এবং বহিঃবিশ্ব বর্তমান সরকাকে অনুরোধও করেছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার জন্য। যদিও বাংলাদেশ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই বহিঃবিশ্বের উপর নির্ভরশীল কিন্তু বর্তমান সরকার বহিঃবিশ্বের যে সব দেশে প্রচুর পরিমাণ বাংলাদশী আছে বা এখনও ঐ সব দেশের বাংলাদেশী নাগরিক প্রবেশের সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেসব দেশের সাথে নিজ ইচ্ছায় ও স্বার্থে সম্পর্ক ছেদ করছে। এতে সরকার নিজের পায়ে নয় বরং দেশের সকল জনসাধারণের পায়ে কুড়াল মারছে। আর এর মাসুল জনগণকে দিতে হবে। একের পর এক অর্নৈতিক কাজ যা দিয়ে বর্তমান সরকার বাংলাদেশেই নয় বরং পৃথিবীর ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়ের নাম লিখাচ্ছে।
তারেক জিয়া ও কোকো শিশু মুক্তিযোদ্ধা এটাই সত্যি, এটাই ইতিহাস। কারন যারা ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত বা মুক্তিযুদ্ধের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদেরকেই ৭১’ এর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেওয়া হয়েছে বা হয়। এই ক্ষেত্রে তারেক জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকো দীর্ঘ ৫ মাস পাক হানাদার বাহিনী দ্বারা আটক ছিলেন অর্থাৎ তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাঘাত ঘটিয়ে তারা ঐ শিশু বয়সেই দেশের জন্যে ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন। সুতরাং ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধে তাদের এই সরাসরি ভূমিকার কারণে তাদেরকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা না বলার কোন কারন নেই। আর এই ক্ষেত্রে ইতিহাস তারেক জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকো’কে শিশু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাক্ষী দেয়।
সময়ের প্রয়োজনে স্থান, কাল ও পাত্রের ভিক্তিতে ইতিহাস রচিত হয়। সেই ক্ষেত্রে কে বললো বা কে লিখলো সেটা মুখ্য বিষয় নয় বরং বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় স্থান, কাল ও পাত্র সাক্ষ্য দিচ্ছে যে ঘটনাটি সত্য তাহলে সেটাই বড় বিষয় সেটাই ইতিহাস।
জনতার আওয়াজ/আ আ
