এবার রমজানে সুলভ মূল্যে গরু-খাসির মাংস বেচবে না সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫ ২:০৮ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫ ২:০৮ অপরাহ্ণ

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
সক্ষমতা ও অতীত বিতর্কের অজুহাতে এবার রমজানে সুলভ মূল্যে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি করবে না প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বাজারে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন ভোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা। আর মাংস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানাচ্ছে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলে তারা যোগান দিতে প্রস্তুত।
২০২০ সাল থেকে রমজান মাসে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করে আসছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। যেখানে বাজারমূল্য থেকে কমে এসব পণ্য পান ভোক্তারা।
গত বছরও রাজধানীর ২৫টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ফ্রিজিং ভ্যানে ও পাঁচটি বাজারের দোকানে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে ৪ হাজার কেজি মাংস বিক্রি হয়েছে। এবার রমজানে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে বাজারে দাম বাড়ার আশঙ্কায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তারা।
সরবরাহকারীরা বলছেন, মুরগির মাংসের জন্য ফ্রিজিং ব্যবস্থা যেহেতু করতেই হবে সুতরাং গরু ও খাসির মাংস বাদ দেয়ার কোনো যুক্তি নেই। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলে তারা সরবরাহ করতে প্রস্তুত আছেন।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে গুরুর মাংসে। দুধ এবং মুরগির মাংস দেয়ার জন্য ফ্রিজার ভ্যান লাগছেই। ফলে দুইটা পণ্য সরে গেলেও আগের খরচই বহন করতে হবে। প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে কিছু বলা হয়নি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, এ বছর সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ আর মুরগির মাংস বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি মাছও সরবরাহের চেষ্টা করছি।
কেন বাদ হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মূলত ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়শনের মাধ্যমে যে মাংস দেয়া হতো সেটা আসবে না। গতবার মাংস বিক্রি নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিল। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, আমরা যদি গরু ও খাসির মাংস নিরাপদভাবে দিতে না পরি তাহলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।’
উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের পুষ্টির কথা বিবেচনায় নিয়ে কর্মসূচি চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।
জনতার আওয়াজ/আ আ
