কুকীর্তি ঢাকার যুক্তবিবৃতি সমাচার – জনতার আওয়াজ
  • আজ রাত ৩:৫০, শুক্রবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

কুকীর্তি ঢাকার যুক্তবিবৃতি সমাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩ ২:২৪ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩ ২:২৪ পূর্বাহ্ণ

 

মারুফ কামাল খান

আওয়ামী বাথানের এক শত একাত্তর জন পেশাজীবী, লিখিয়ে-আঁকিয়ে, গায়ক-বাদক, পারফর্মার, সিনেমা-নাটকের নট-নটী ওগায়রা ওগায়রা মিলিয়া এক যুক্তবিবৃতি জারি করিয়াছেন। আওয়ামীলীগের পক্ষে এবং আওয়ামী-বিরোধীদের বিরুদ্ধে নানান ইস্যুতে প্রায় নিয়মিত এবং অবিরাম হরেক রকম বিবৃতি ঝাড়িতে থাকায় ইহাদের অধিকাংশই ‘তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবী’ বিশেষণে এককালে মশহুর হইয়াছিলেন। তবে বিবৃতির অতিব্যবহারে নিজেদের ধার ও ভার ক্রমাগত কমিতে কমিতে তাহারা একপর্যায়ে লোকচোক্ষে হাস্যকর বিষয়বস্তু হইয়া উঠেন। ইহার ফলে আম পাব্লিক যুক্তবিবৃতির নামে উহাদের নিক্ষিপ্ত জঞ্জাল হইতে অনেকটাই নিষ্কৃতি পাইয়াছিল।

তবে হালে আওয়ামী যামানায় চারি তরফছে আন্ধার ঘনাইয়া আসায় অনেকেই চক্ষে সরিষাপুষ্প দর্শন শুরু করিয়াছেন। এহেন ক্রান্তিকালে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সত্বেও গুপ্ত ভাতাপ্রাপ্ত তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীবৃন্দ হস্তপদ গুটাইয়া গৃহে বসিয়া থাকিতে পারেন নাই। ভাঁড়ারের মরিচাধরা তালা খুলিয়া তাহারা পুনরায় একখানা ‘খাসা’ বিবৃতি নাজিল করিয়াছেন কতিপয় ‘নতুন মাল’কে সঙ্গী করিয়া। বিবৃতিটির শানে নজুল হইল বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে হেনস্তা না করিবার আন্তর্জাতিক আহ্বানের বিরোধিতা। অর্থাৎ এই বিবৃতিখানা অবিচার ও স্বৈরাচারের পক্ষে এবং রাষ্ট্রীয় নিবর্তন ও হয়রানির সমর্থনে।

এই একশ’ একাত্তুরে বিবৃতির আসল বয়ান সম্পর্কে বলিবার পূর্বে বিবৃতিদাতাদেরকে ‘বিশিষ্ট নাগরিক’ রূপে আখ্যায়িত করিবার তীব্র প্রতিবাদ জানাইতেছি। রাষ্ট্রীয় সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তো বটেই, সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান অনুযায়ীও বিশিষ্ট নাগরিক বলিয়া কেহ নাই। আইনের চোক্ষে নাগরিক হিসাবে সকলেই সমান, কোনও নাগরিককেই কোনও দিক দিয়া বিশিষ্টতা দেওয়া হয় নাই।

প্রফেসর ইউনূসকে হয়রানি না করিবার আহ্বান সম্বলিত বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতনামা ব্যক্তিদের শেখ হাসিনার উদ্দেশে প্রকাশ করা খোলাচিঠিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার, আইনের শাসন, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার লইয়াও উদ্বেগ প্রকাশ করা হইয়াছে। কিন্তু এইসব বিষয় লইয়া কিছু বলিতে গেলে আওয়ামী শাসনের থলিয়া হইতে কদাকার মার্জারটি বাহির হইয়া মিয়াও মিয়াও করিয়া কোলাহল জুড়িয়া দিতে পারে ভাবিয়া স্বদেশী বিবৃতিবাজেরা ঐসকল বিষয়ে একেবারেই নিশ্চুপ থাকিয়াছে। তাহারা কেবল ইউনূস প্রসঙ্গটুকুতেই তাহাদের খুরাঘাত করিতে তৎপর হইয়াছে।

আওয়ামী বাথানের এই বিবৃতিবাজেরা কেহ কেহ ইতোপূর্বে দাঁতমুখ খিঁচাইয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের খোলাচিঠিটির প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করিয়া বলিয়াছেন : “আরে ছোঃ! নগদ মাল ঝাড়িলে বিশ্ববাজারে এমন বিবৃতি কতই কিনিতে পাওয়া যায়।”

দর্পণে নিজের চেহারা দেখিয়া ওই সব কুৎসিত উক্তিকারীরা তাহাদের কর্ত্রীর পক্ষে অমন দশ জন ব্যক্তিত্বের একটা বিবৃতিও খরিদ করিয়া আনিতে ব্যর্থ হইয়া অবশেষে নিজেরাই একখানা বিবৃতি ঝাড়িয়া দিয়াছেন। নক্ষত্রখচিত আকাশের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কপুঞ্জের দিকে ইশারায় আঙুল নাড়িয়া বাংলাদেশের আওয়ামী বামনেরা আসমানের তারকাদের খোঁচা মারিবার আত্মপ্রসাদ লাভ করিতেই পারে! সব কিছুতেই অর্বাচীনদের ‘ডাউট’তো একটু কমই থাকে।

বিবৃতিদাতা আওয়ামী ভৃত্যকূল তাহাদের বয়ানে স্বৈরাচার কবলিত, মানবাধিকার-বঞ্চিত ও গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশকে একটি মডেল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে মিথ্যাচিত্রিত করিবার অপচেষ্টা করিয়াছে। এদেশে আদালত স্বাধীন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত বলিয়া অপপ্রচার করিয়াছে। প্রকৃত সত্য ও আসল চিত্র হইল, দলবাজদের নিয়োগের মাধ্যমে জঘন্য পন্থায় দলীয়করণ, অপছন্দের রায় দেওয়া বিচারকদের দেশ হইতে বিতাড়ন এবং ভীতিপ্রদর্শন ও আনুকূল্য বিতরণের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে শাসকদের ইচ্ছাপূরণের হাতিয়ারে পরিণত করা হইয়াছে। শাসক দলের সাবেক ক্যাডারেরা এখন বিচারক পদে বসিয়া নিজেদেরকে ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ বলিয়া ঘোষণা করিতেছে। ফলে ক্ষমতাসীনদের অপছন্দনীয় কাহারো পক্ষে এই আওয়ামী জাহেলিয়াতে ন্যায়বিচার লাভের কোনও সুযোগই নাই। বিচারের নামে অবিচার এখন স্বাভাবিক বাস্তবতা এবং আইনের প্রয়োগ ও বিচারের নামে ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের হেনস্তা, শায়েস্তা ও সাজা দেওয়াই এখন অন্যতম লক্ষ্য। আর তাই, বর্তমানে যাহারা ক্ষমতাসীন, তাহাদের নামে অতীতে দায়ের করা সকল মামলা নানা পন্থা ও প্রক্রিয়ায় উধাও হইয়া গিয়াছে। পক্ষান্তরে অজস্র মিথ্যা মামলায় বিরোধীদেরকে দ্রুতগতিতে সাজা দেওয়া হইতেছে।

এইসব গোপন কোনও বিষয় নয়। প্রকাশ্যে ঘটমান এই সকল বাস্তবতা চর্মচোক্ষে দেখা সত্বেও আওয়ামী বিবৃতিবাজেরা দেশে আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন বলিয়া যে জালিয়াতিপূর্ণ সার্টিফিকেট দিয়াছেন তাহাতে উহাদেরকে জোচ্চর ছাড়া আর কিছু ভাবিবার সুযোগ রাখিতেছেন না। মুখে যাহাই বলুন না কেন, উহাদের মনের ভাষা হইতেছে, শেখ হাসিনা ব্যতিরেকে আদালতে হস্তক্ষেপের অধিকার কাহারও নাই। বিচারের নামে অবিচার ও হেনস্তার বিরুদ্ধে অন্য কেহ আপত্তি তুলিলে তাহা বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ বলিয়া চালাইয়া দেওয়া হইবে এবং এই ইতরসুলভ চাতুরি কেহ ধরিতে পারিবে না। কেননা সকলেই ঘাস খাইয়া বড় হইয়াছে বলিয়া উহারা সাব্যস্ত করিয়া বসিয়া আছেন।

আওয়ামী যামানায় প্রফেসর ইউনুসের বিরুদ্ধে একটা-দুইটা নয়, প্রায় পৌণে দুইশত মামলা দায়ের করা হইয়াছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন অভিযোগ তুলিয়া ইউনূস সাহেবকে ‘মালিক’ সাজাইয়া দায়ের করা এই সব মামলার খুব কমই শ্রমিক-কর্মচারীদের দায়ের করা এবং প্রতিটি মামলাই সরকারি ইন্ধন ও উস্কানির ফসল। কাজেই ইউনূস সাহেবকে হেনস্তার অস্ত্র হিসেবে দায়ের করা মামলাগুলিকে কেবলই মজুরদের হক আদায়ের মামলা বলিয়া প্রকৃত সত্যকে আড়াল করিবার সুযোগ খুবই কম।

এই আওয়ামী যামানায় শেয়ারবাজার লুটের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অর্থমন্ত্রী ও উপদেষ্টা বানানো হইয়াছে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে আওয়ামী মাফিয়াদেরকে দেওয়া লাখো কোটি টাকার সুবিধাকে প্রশ্নাতীত ঘোষণা করিয়া ইনডেমনিটি দেওয়া হইয়াছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের নামে ডিজিটাল ডাকাতি করিয়া জনগণের বিপুল অর্থ লোপাট ও বিদেশে পাচারের চিহ্ন মুছিয়া দেওয়া ব্যক্তিকে প্রফেসার এমিরেটাস করা হইয়াছে। অলিগার্ক ও লুটেরাদের ব্যাংকঋণের শত শত কোটি টাকার সুদ মওকুফ করা হইতেছে। বিলিয়ন ডলার পাচারের দায়ে অভিযুক্ত এস.আলমের তদন্ত ও বিচার স্থগিত করানো হইয়াছে অনুগত বিচারকের মাধ্যমে। আওয়ামী বাথানের বিবৃতিবাজেরা এই সবের বিরুদ্ধে কখনও একটি কথাও বলেন নাই বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে ইনাইয়া বিনাইয়া সমর্থন দিয়াছেন।

সতেরো বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী খাদিজাতুল কোবরা পরিচালিত এক ওয়েবেনারে জনৈক অংশগ্রহনকারী ব্যক্তি শাসকমহলের সমালোচনা করিয়া কিছু বক্তব্য রাখিয়াছিলেন। ইহার দায়ে দুই বছর পর পুলিস খাদিজাকে গ্রেফতার করিয়া জেলে পাঠায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরিয়া সেই তরুণী কারাপ্রকোষ্ঠে মানবেতর জীবন কাটাইতেছে এবং অসুস্থ হইয়া পড়িয়াছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত খাদিজাকে জামিন মঞ্জুর করিবার মতন সামর্থ্য ও সাহসটুকুও দেখাইতে পারে নাই। সেই বিচারব্যবস্থার ললাটে ‘স্বাধীন’ তিলক আঁটিয়া দিয়া ন্যায়বিচারের আশায় তাহাদের মুখ চাহিয়া বসিয়া থাকিবার জন্য আওয়ামী বিবৃতিদাতারা নসিহত করিয়াছেন। এই আওয়ামী ফতোয়া উহাদের মুখে ছুঁড়িয়া মারা ছাড়া ইহা দিয়া আমাদের আর কী করিবার আছে?

আওয়ামী বলয়ের বিবৃতিবাজেরা তাহাদের নিতম্ব দিয়া একটি জ্বলন্ত সত্যকে আড়াল করিতে চাহিয়াছেন। এই জগতে যখন যেখানেই অন্যায়, অবিচার, অনাচার, জুলুম-পীড়ন ও স্বেচ্ছাচার চলিয়াছে তাহার বিরুদ্ধেই বিশ্ববিবেক জাগ্রত ও প্রতিবাদমুখর হইয়াছে। দূরদেশের উদাহরণ না দিয়া নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাই বলি। ১৯৭১ সালে আমাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতাকে পাকিস্তানি হানাদার ও তাহাদের দোসরেরা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং সার্বভৌমত্বের ধুয়া তুলিয়া আড়াল করিতে চাহিয়াছিল। তাহারা কি সফল হইয়াছিল?

‘দারিদ্রের অর্থনীতি’ প্রফেসর ইউনূসের প্রিয় বিষয়। গরীবদের বিনা বন্ধকিতে ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার ধারণার প্রবর্তক তিনি। এই আইডিয়া হাতে-কলমে প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি গ্রামীন ব্যাংক স্থাপন করেন। এইক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন ও আনুকূল্য থাকিলেও অতীতের কোনও সরকার তাঁহার এই স্বপ্নপ্রকল্পে হস্তক্ষেপ করে নাই। গ্রামীন ব্যাংক প্রচলিত ধারার কোনও ব্যাংক নয়, বরং জনকল্যাণমুখী একটি সৃজনশীল আইডিয়া, একটি আন্দোলন। এ আন্দোলন বিশ্বস্বীকৃতি লাভ করিয়াছে এবং ইহার মাধ্যমে ড. ইউনূস বাংলাদেশের জন্যও বহিয়া আনিয়াছেন অফুরন্ত সম্মান ও মর্যাদা।

শেখ হাসিনা আইনের ফাঁক-ফোকড় দিয়া গ্রামীন ব্যাংক হইতে ইহার আইডিয়ার প্রবর্তক ও প্রতিষ্ঠাতা ভদ্রলোককে বিতাড়িত করিয়াছেন। তবে, এই ব্যাংক কখনও ইউনূস সাহেবের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ছিল না। ব্যাংকটির সুদভিত্তিক কার্যক্রমের কোনও মুনাফা প্রফেসর ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে কখনও ভোগ বা গ্রহনও করেন নাই। তাহা হইলে তিনি সুদখোর হইলেন কী করিয়া? খোর অর্থ যিনি খান। সুদ না খাওয়া সত্বেও ইউনূস সাহেবকে সুদখোর বলিয়া ডাকা মিথ্যা শুধু নয়, মানহানিকরও। ঈর্ষার নীল বিষে বিষধর হইয়া শেখ হাসিনা দীর্ঘ দিন ধরিয়া প্রফেসরকে ছোবল মারিতেছেন। তাঁহার বিরুদ্ধে ক্রমাগত এই মিথ্যা প্রচারণা চালানো সত্বেও এই নীচতার বিরুদ্ধে টু-শব্দটিও করে নাই আওয়ামী বিবৃতিজীবীরা।

শুধু সুদখোর বলিয়া গালি দেওয়াই নহে। শেখ হাসিনা নানা কল্পিত এবং অপ্রমাণিত অভিযোগ তুলিয়া প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরিয়া হরদম কুৎসা রটাইয়া আসিতেছেন। পদ্মাসেতু হইতে তাহাকে টুপ করিয়া নদীতে ফেলিয়া দিয়া পানিতে চুবাইবার খায়েশও তিনি ব্যক্ত করিয়াছেন। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর পদে বসিয়া ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি সম্পর্কে ক্রমাগত একতরফা মন্তব্য করিয়া বিচারাধীন বিষয়ে আদালতকে প্রভাবিত করিয়াছেন। ইহার সকল কিছুইতেই প্রফেসর ইউনূসের প্রতি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ক্রোধ, বিদ্বেষ ও প্রতিশোধস্পৃহা স্পষ্টভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে। তবুও আওয়ামী ধইঞ্চা এই বিবৃতিবাজরা মুখে কুলুপ আঁটিয়া বসিয়াছিলেন। এখন এই বিবৃতির ফেরিওয়ালারা নামিয়াছেন আন্তর্জাতিক আহ্বানের বিরুদ্ধে হাসিনার পক্ষে অচল কুযুক্তি ফেরি করিতে।

ড. ইউনূসকে শায়েস্তা করার ব্যাপারে শেখ হাসিনার বৈচারিক রথযাত্রা থামাইতে শুধু আমেরিকা নয়, সারা দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের, অঞ্চলের, বিভিন্ন মহাদেশের ও নানা দেশের শতাধিক নোবেল লরিয়েট খোলাচিঠিতে স্বাক্ষর করিয়াছেন। সাবেক ও বর্তমান রাষ্ট্রনেতা, কৃতি বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিশ্রুত দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, উদ্যোক্তা, সমাজবিদ, মানবাধিকার কর্মী, জনহিতৈষী ও আইনজ্ঞরা রহিয়াছেন এই তালিকায়। আওয়ামী বিবৃতিজীবীরা তাহাদেরকে ‘খরিদযোগ্য’ বলিয়া যে তাচ্ছিল্য করিয়াছেন এবং তাহাদিগকে আইনের তালিম প্রদানের যে কোশেশ করিয়াছেন তাহা হাস্যকর শুধু নহে, ধৃষ্টতাপূর্ণও বটে।

এই অচল মালদের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই অনেক বাক্য ব্যয় করিয়া ফেলিয়াছি। পরিশেষে কেবল একটি বাক্যে উপসংহার টানিতে চাই : ওহে আওয়ামী বাথানের বিবৃতিবাজেরা, ইহার পরেও তোমরা তোমাদের প্রভুর কোন্ কুকীর্তিকে অস্বীকার করিবে?

মারুফ কামাল খান এর টাইম লাইন থেকে

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ