কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা অবরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, জুলাই ৪, ২০২৪ ৩:২১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, জুলাই ৪, ২০২৪ ৩:২১ অপরাহ্ণ
জাবি প্রতিনিধি
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। মুত্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিকে অবৈধ ঘোষনা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় কে বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। এর প্রতিবাদে ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ রেখেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সোয়া বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে অবরোধ করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন , হাইকোর্ট আজকে কোটা পুনর্বহালের রায় বহাল রেখেছে , তারই প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছি । যেহেতু এখনো শুনানি দেয় নি সেটার উপর আশা রেখে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা এখনো অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মসূচি দেই নাই , তবে আজকের অবরোধ কর্মসূচি থেকে জানাতে চাই , যদি এই কোটা প্রথা বহালের টালবাহানা করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশ অচল করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন , কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদের কর্মসূচি হিসেবে সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় এখানেও শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করেছে , অবরোধের সময় অসুস্থ মানুষের কথা চিন্তা করে এম্বুলেন্স গুলো বিকল্প রাস্তা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে পার করিয়ে দেওয়া হচ্ছে ।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হয়েছে , তারা জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এবং চলমান এইসএসসি পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার সময় শেষ হবার আগেই অবরোধ করসূচি শেষ করবে।
পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, আদালত যেহেতু সময় বাড়িয়েছে তাই আমরা এখনো অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অবরোধে যাব না। স্বল্প সময়ের জন্য অবরোধ করবো। জনগনের জানমালের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে আমরা অবস্থান কর্মসূচী করব।
এর আগে গত ৯ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। ওইদিন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন ঠিক করে দেন তিনি।