খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান অংশ নিতে পারবেন না বলে বিএনপি নির্বাচনই চায় না
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৩:৩৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৩:৩৬ অপরাহ্ণ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে বিএনপি নির্বাচন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন এবং যে প্রক্রিয়ায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, বহু পুরোনো গণতন্ত্রের দেশেও এটি হয় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব যারা অতীতে অত্যন্ত সফলভাবে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে এবং বলিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বিএনপি ঘরনার উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম ডা. জাফরুল্লাহ প্রস্তাব করেছিলেন। সেখান থেকেই তার নামটা এসেছে এবং এজন্য জাফরুল্লাহ সাহেব অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম, তিনি (জাফরুল্লাহ) কেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছেন সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এবং বিএনপিসহ সবার এই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা উচিত বলে জানান।
বিএনপি নির্বাচন কমিশন নয়, নির্বাচনই চায় না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির বড় সমস্যা হচ্ছে প্রথমত তারা মানুষের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে, সন্ত্রাসী রাজনীতি করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে রক্ষা করার জন্যই তাদের পুরো রাজনীতিটা আবর্তিত। দ্বিতীয়ত খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান আগামী নির্বাচন করতে পারবেন না কারণ তারা শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। সুতরাং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। যেহেতু তারা নির্বাচন করতে পারবেন না, এবং পরবর্তী নেতা কে কেউ জানে না, তাই তারা নির্বাচনটাই চায় না।
বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই কেয়ারটেকার বা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে, এক্ষেত্রে সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ভারত সফরকে ফলপ্রসূ উল্লেখ করে বলেন, ত্রিপুরার আগরতলা ও আসামের গুয়াহাটিতে চলচ্চিত্র উদ্বোধনের পাশাপাশি আসামের রাজ্যপাল এবং ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল, সড়ক, নৌ ও বিমানপথে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক উপাদান আদান-প্রদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।