খুলনার দাকোপের কালিকাবাটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই চলাচলের একমাত্র ভরসা
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, মার্চ ১, ২০২২ ৮:৩১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, মার্চ ১, ২০২২ ৮:৩১ অপরাহ্ণ
ফকির শহিদুল ইসলাম, খুলনা থেকেঃ
খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার কালিকাবাটি এলাকায় মৃতঃ সৈয়দ মেম্বারের বাড়ির সামনে কালিকাবাটি খালের দু’পাশে প্রায় হাজারো লোকের বসবাস। তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের একটি নড়বড়ে সাঁকো। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীর। এলাকাবাসী বহুদিন ধরে সরকারি খরচে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জন প্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু ব্রিজের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। স্থানীয়রা কয়েক মাস পর পর নিজ খরচে সাঁকোটি নির্মাণ করে আসছে। প্রায় ১০০-১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি যেন গ্রামবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরজমিনে স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে ওই খাল পেরিয়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অধিবাসীরা যাতায়াত করে আসছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মাঠের ফসল নিয়ে কৃষকরা এ সাঁকো পার হন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। সাঁকোটির পাশে রয়েছে কালিকাবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামিয়া মাদ্রাসাসহ, এতিমখানা ও মসজিদ।
ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা এ নড়বড়ে সাঁকো পারাপারে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ছাড়া মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের নিকট আনা-নেয়ায় দারুণ বিপাকে পড়তে হয় তাদের। গ্রামের অসীমা নামের ৬০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধা চার পার হওয়ার সময় জানান, তাদের ভোগান্তি কেউই দেখতে আসেন না। দুঃখ ভরা মনে বলেন, এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে জানিনা। কতোবার কতো লোক এসে মাপে কোন কাজ হয় না বাবা। শুধু মাপামাপিই সার ব্রিজ তো হয় না। দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী অলক ও সীমা বলে, এত বড় সাঁকো পার হতে ভয় করে।
একটা ব্রিজ হলে দৌড়ে স্কুলে যেতে পারতাম। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু গাজী জানান, দীর্ঘ বছর ধরে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে চলাচল করছেন। এতে গ্রামবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ খুবই জরুরি। লাউডোব ইউপি চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ জানান, বাঁশের সাঁকোর স্থানে সরকারি অর্থায়নে একটি ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা প্রকৌশলী জানান, সাঁকো সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।