গোসাইরহাটে জমি দখল করে আ’লীগের অফিস নির্মাণের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ১৩, ২০২২ ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ১৩, ২০২২ ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি ॥ গোসইরহাট উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের মিয়ারহাট নামক স্থানে সরকারী খাস জমিতে থাকা হাসিল ঘর ভেঙ্গে রাতের আধারে বিক্রি করে আওয়ামীলীগের ক্লাব ঘর নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নলমুড়ি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নুর ইসলাম বেপারী ও তার ছেলে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসন বলছে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবে।
সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় সূত্র জানায় , গোসাইরহাট উপজেলার নলমুড়ি ইউনয়নের মিয়ারহাট নামক স্থানে শতবর্ষ পুরনো একটি হাসিল ঘর। সরকারী জমিতে তৎকালীন বাজার কমিটি সরকারী জমিতে ঘর উত্তোলন করে গরু হাটের হাসিল আদায় করতেন। কালের বিবর্তনে গরুহাটটি সেখান থেকে সরিয়ে দাসের জংগল বাজারে নিয়ে আসে। ফলে ঐ হাসিল ঘরটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে থাকে। বর্তমান বি আর এস জরিপে ১ নং খাস খতিয়ানের ৪৮০ নং দাগে.০২শতাংশ জমি ও একটি টিনের ঘর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক শরীয়তপুর এর নামে রেকর্ড হয়েছে। ঐ ঘরটি গত ২/৩ দিন পূর্বে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক নুর ইসলাম বেপারী ও তার ছেলে তপসিল বেপারী রাতের আধারে ভেঙ্গে বিক্রি করে ফেলে। এরপর ঐ সরকারী জমিতে আওয়ামীলীগের ক্লাব ঘর নির্মানের জন্য স্থানীয় এমপির ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। এ দিকে সুয়োগে সৎ ব্যবহার করে পার্শ্ববতী দোকানদার সাবেক মেম্বার জামাল সরদার ৩ ফুট জায়গা দখল করে ইটের গাতনি করে ঘর নির্মানের চেষ্টা চালাচ্ছে। লাখ লাখ টাকা মূল্যের সরকারী ঘর ও জমি দখলের যেন হিড়িক পড়েছে। এ দখলের পিছনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মিয়ার সহযোগিতা রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। জরুরী ভিত্তিতি কতৃপক্ষ হস্তক্ষেপ না করলে সরকারী ঘর ও জমিটুকু সরকারের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে নুর ইসলাম বেপারী বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নলমুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ রহমান মুন্সি ও সাধারন সম্পাদক আজাহার সরদার আমাকে ঘর সরিয়ে ক্লাব ঘর নির্মানের নির্দেশ দিয়েছে। তাই পরিত্যক্ত ভাংগা ঘরটি বিক্রি করে আওয়ামীলীগের ক্লাব ঘর নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছি। এ জায়গার কিছু অংশ জামাল সরদার দখল করেছে।
দখলদার জামাল সরদার বলেন, আমি দর্ঘদিন এখানে দোকান করি। আমার পাশের হাসিল ঘর ভেঙ্গে নেয়ার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর অনুমতি নিয়ে কিছু জায়গা আমি ইট দিয়ে আটকাইছি।
নলমড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, পরিত্যাক্ত জায়গা বলে বিরোধ মিমাংসার জন্য আমি জামাল কে সামান্য জায়গা তার দখলে দিয়ে খুটি দিয়েছি।
এ ব্যাপারে েেগাসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হুসাইন বলেন, আমি খোজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।