জানুয়ারি ৫ ভোটার-প্রার্থীবিহীন চিরকলঙ্কিত নির্বাচন দিবস
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৫, ২০২৩ ৭:১২ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৫, ২০২৩ ৭:১২ অপরাহ্ণ

জানুয়ারি ৫, ২০১৪, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সংখ্যালঘু আওয়ামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেশের মালিক জনগণ, আর তাদের মাতৃভূমিকে কে শাসন করবে, জনগণের সেই সিদ্ধান্ত দেয়ার সাংবিধানিক অধিকারকে পদদলিত করে, চূড়ান্ত ক্ষমতালোভী, নির্লজ্জ স্বৈরশাসকরূপে আবির্ভূত হয় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে দশম সংসদ গঠিত হলেও অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দল বর্জন করে। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটি এখন পর্যন্ত বহুল বিতর্কিত নির্বাচনগুলোর একটি।
ওই নির্বাচনে জাতীয় সংসদের তিনশো’ আসনের মধ্যে ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফলাফল নির্ধারিত হয়েছিল, ফলে বাংলাদেশের মোট ৯,১৯,৬৫,৯৭৭ ভোটারের মধ্যে কাগজে-কলমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো ৪,৩৯,৩৮,৯৩৮ জন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৫১ আসনে আগেই নিশ্চিত করা হয়।
প্রচারণাকালে ১৮২ জন মানুষ নিহত ও পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ আহত হন যা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি। ভোটের দিন অন্তত ১৮ জন নিহত হন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতে, নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে খুব কম ভোটারই ভোট দিয়েছিলেন।
এই নির্বাচনের পথধরে ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮-এ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।
বাংলাদেশের মানুষ বিগত ১৪ বছর ধরে তাদের মালিকানা বুঝে নিতে সংগ্রাম করছে।
জনতার আওয়াজ/আ আ
