জিয়াউর রহমান: স্বাধীনতা ও স্বনির্ভরতা অর্জনের অনন্য নাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মে ৩০, ২০২৪ ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মে ৩০, ২০২৪ ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নাছির উদ্দিন নাছির
১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ অন্ধকার রাতে আনুমানিক ২:১৫ মিনিটে ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি সেলে দাঁড়িয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং কিছুক্ষণ পরই মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তারপর স্বাধীনতা অর্জনের জন্য রণাঙ্গনে উৎসর্গ করেন নিজেকে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জিয়াউর রহমানের যে ভূমিকা তা পরবর্তীতে দেশ শাসন করতে তাকে অনেক সাহায্য করেছিল।
জিয়াউর রহমান দুইবার জনসাধারণের কাছাকাছি গিয়েছিলেন। প্রথমবার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। আর দ্বিতীয়বার শাসক হিসেবে। ১৯৭১ সালে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসের বাঙালি সেনাকর্মকর্তারাও বিদ্রোহ করেন। তবে জিয়াউর রহমান বেতারে ঘোষণা দিয়েই যুদ্ধে যোগ দেন। তাঁর ঘোষণাটি প্রচারিত হয় সারাদেশে। রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার ঘোষণা যখন আসছিল না, তখন জিয়ার ঘোষণা জনসাধারণকে ব্যাপকভাবে আলোড়িত, উদ্বেলিত ও আশান্বিত করেছিল।
আজ সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-এর ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে তিনি নিহত হন। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে ভূমিকা রেখেছেন; বর্তমান বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ইতিহাস পাঠ করতে গেলে সে অবদান তাকে বারবার প্রাসঙ্গিক করে তুলে।
তার অবদান অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে, শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য । এমন কোনো অঙ্গন নেই যা নিয়ে জিয়াউর রহমান ভাবেননি । জিয়াউর রহমানের বড় গুণ ছিল, তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে এর শুরু এবং রাষ্ট্র পরিচালনায়ও এর প্রতিফলন দেখা যায়। জিয়াউর রহমান সম্ভবত দীর্ঘসূত্রতা পছন্দ করতেন না। এ কারণেই তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। রাষ্ট্র পরিচালনায়ও তিনি সিদ্ধান্ত নিতেন দ্রুত কিন্তু সুচিন্তিত এবং তার বাস্তবায়নও করতেন দ্রুততম সময়ে ।
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অসীম অবদানগুলোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো:
১. জিয়াউর রহমানের নামে জেড ফোর্স গঠন করা । একই সাথে তিনি সেক্টর ও ব্রিগেড কমান্ডার ।
২. মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান উত্তরবঙ্গের রৌমারিতে বাংলাদেশের প্রথম পোস্ট অফিস স্থাপন করেন এবং সেখান থেকেই বাংলাদেশ হিসাবে বিভিন্ন অঞ্চলে চিঠি পত্র সরবরাহ হতে থাকে।
৩. প্রবাসী সরকার গঠন হলে জিয়াউর রহমান সরকারের রাজস্ব আদায়ের সূচনা করেন।
৪. জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার যুদ্ধে নিজে একাধিক সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের নিপুণতার কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল আরো দৃঢ় আকার ধারণ করতো । ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের পরে শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে কোন রূপ উচ্চালিভাস না করে অবলীলায় সৈনিক জীবনে ফিরে যান ।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জিয়াউর রহমান কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেন । শুরুতেই মুসলিম বিশ্ব এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের উন্নতি ঘটান। পরবর্তীতে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির পদক্ষেপ নেন। অমুসলিম দেশ ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মুসলিম দেশ পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করার বিষয়টি পাকিস্তানের আরব মিত্ররা তখনও মেনে নিতে পারেনি। জিয়াউর রহমান দ্রুত সৌদি এবং চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করেন। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে চীন সফর করে কূটনৈতিক সম্পর্কে অগ্রগতি নিয়ে আসেন৷ ১৯৭৮ সালে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসলে সম্পর্কের আরও একধাপ উন্নতি ঘটে। জিয়াউর রহমান চীনের দিকে ঝুঁকছেন দেখে সোভিয়েত রাশিয়া জিয়া সরকারের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে সচেষ্ট হয়। বাংলাদেশ যাতে চীনের সাথে একেবারে ঘনিষ্ঠ না হয়ে যায় তার জন্য সোভিয়েত রাশিয়াও জিয়া সরকারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান এন্টি-ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট সত্ত্বেও ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য জিয়াউর রহমান উদ্যোগ নেন এবং ভারত সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী মোররাজি দেশাইয়ের সাথে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। দেশাই সরকারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে ফারাক্কা ইস্যুতে পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়। চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লজের মাধ্যমে জিয়ার আমলে বাংলাদেশ বছরে ৩৫০০০ কিউসেক পানি আদায় করে, এখন আমরা পাই বছরে দেড় হাজার কিউসেক। ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে জিয়ার আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোররাজি দেশাই বাংলাদেশে আসলে দুই দেশ সেচ ও কৃষিকাজের জন্য গঙ্গা নদীর পানিবণ্টনের জন্য যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়। জিয়াউর রহমানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান সার্ক গঠন করা । প্রভাবশালী শক্তি ভারতকে একা মোকাবেলা করা কঠিন হবে বুঝতে পেরে জিয়াউর রহমান আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম সার্ক গঠন করার উদ্যোগ নেন। সার্ক প্রতিষ্ঠা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতে একটি মাইলফলক।
মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব স্থাপনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল শ্রমবাজারকে করায়ত্ত করেন। পশ্চিমাদের আকৃষ্ট করে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের বিস্তার করেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি গার্মেন্টস এবং রেমিট্যান্স জিয়াউর রহমানের অবদান। ইরাক ইরানের যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে জিয়া মুসলিম বিশ্বে একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে প্রশংসিত হন। ১৯৭৮ সালে জাপানকে পরাজিত করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদে বাংলাদেশের জয়লাভের ঘটনা জিয়ার কূটনৈতিক দূরদর্শিতার প্রমাণ। জিয়ার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এস এ এম এস কিবরিয়া ESCAP (Economic and social commission for Asia Pacific) এর নির্বাহী সেক্রেটারি এবং কূটনীতিক আরশাদ উজ জামান OIC এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ সালের মে মাসে মায়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সীমান্তবর্তী ১৩ টি রিফিউজি ক্যাম্পে তাদেরকে রাখা হয়। বার্মিজ সরকার দাবি করে রোহিঙ্গারা বার্মায় অবৈধ। বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়। জিয়া সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে ১৯৭৮ সালের ৭ – ৯ জুলাই ঢাকায় বাংলাদেশ এবং বার্মার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন’ চুক্তি হয়। চুক্তিটি মৌখিক চুক্তি ছিল না, লিখিত চুক্তি ছিল। চুক্তির মাধ্যমে বার্মা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হয়। পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে জিয়ার দর্শন ছিল খুব পরিষ্কার। ছোট রাষ্ট্র হলেও বাংলাদেশ সবার সাথে সুসম্পর্ক এবং সহযোগিতা বজায় রাখবে, বাংলাদেশ কোনো ব্লকে অবস্থান নেবে না; প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে ‘সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে’ আগ্রহী ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন দেশের ক্ষমতায় আরোহণ করেন তখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক বিপর্যস্ত। দেশের মানুষ মাত্র কিছুদিন আগে একটা দুর্ভিক্ষ পার করেছে । জিয়া শুরুতেই আগের সরকারের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা স্থগিত করেন। বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা আকাশচুম্বী উচ্চাভিলাষী ছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করার মতো সামর্থ্য সরকারের ছিল না। জিয়াউর রহমান দুই বছর মেয়াদী রেস্টোরেশন প্ল্যান তৈরি করলেন। তিনি স্বল্পমেয়াদি প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নে জোর দিলেন। দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যানগুলো বন্ধ করে দিলেন। কারণ এতে প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় হত। পূর্ববর্তী সরকার যে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেছিল, জিয়াউর রহমান সেগুলোকে ব্যক্তিমালিকানায় দিয়ে দেন। সরকারি মালিকানায় কলকারখানাগুলো দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির উৎস হয়ে উঠেছিল। অর্থনীতিকে বেসরকারি খাত নির্ভর করার পরে তিনি খাদ্য সংকট দূর করার জন্য কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন। খাদ্য ও পুষ্টি খাতে বরাদ্দ বাড়ান এবং তিনি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেন। জিয়াউর রহমানের হাতে গড়ে ওঠা গার্মেন্টস এবং রেমিটেন্স এখনও বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় আসেন তখন বাংলাদেশের গ্রোথ ছিল নেগেটিভ, -১.৩%। ১৯৮১ তে যখন তিনি শহীদ হন তখন দেশের গ্রোথ ৪.৫-৫%। জিয়ার সময়ে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। এর পেছনে মূল কারণ হচ্ছে তিনি পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট এ দক্ষ ছিলেন। পাবলিক সেক্টরের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ব্যাপারে জিয়ার কমিটমেন্ট এর সুফল খুব দ্রুত দৃশ্যমান হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের ইমপ্লিমেন্টেশন রেট ছিল ১৭%। ১৯৮০ সালে এই রেট দাঁড়ায় ৮৬%।
জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও তিনি তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা, সততা ও ন্যায় পরায়ণতা দিয়ে সবার মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় দেশের প্রায় প্রতিটি ক্রান্তিকালে অসামান্য অবদান রেখেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে দেশ গঠনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কৃতজ্ঞ জাতি আজও তাঁর আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। সততার মাপকাঠিতে তিনি আজও অনন্য ও অদ্বিতীয়। তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়েই দেশের চলমান অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। তিনি গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাকে সচল করার জন্য ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে যশোরের উলশী গ্রাম থেকে স্ব-নির্ভর আন্দোলন কর্মসূচির সূচনা করে গ্রামীণ জনপদের প্রতিটি মানুষকে স্বনির্ভর হতে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি দেশের ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটিকে এক একটি স্ব-নির্ভর ইউনিট হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান স্বনির্ভর আন্দোলনের সাথে কৃষি, সেচ, বৃক্ষরোপণ, গৃহ-নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন, স্বাস্থ্যরক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা এবং আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। খাদ্যে স্বাবলম্বী হওয়ার বিষয়টিকে জিয়াউর রহমান তাঁর জাতীয় নীতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। খাদ্য উৎপাদন দ্বি-গুণ করাকে স্বনির্ভরতা আন্দোলনের সোপান হিসেবে মনে করতেন জিয়াউর রহমান। খরা মৌসুমে চাষাবাদে নিরবচ্ছিন্ন সেচ নিশ্চিতকরণে তাঁর আমলে প্রায় ৯০০ মাইল দীর্ঘ খাল খনন করা হয়েছিল। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে তিনি ১৯৮০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বহুল প্রশংসিত গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। গণনন্দিত এই কর্মসূচির মাধ্যমে খুব স্বল্প সময়ে দেশে প্রায় ৪০ লক্ষ নিরক্ষর মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দান করতে পেরেছিলেন। মূলত ১৯৮৫ সালের মধ্যে দেশের স্বাক্ষরতার হার ৮০% উন্নীতকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরতা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।
তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে জিয়াউর রহমান দেশকে স্বনির্ভরতার পথে তুলে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ আবারও পথভ্রষ্ট । দেশকে সঠিক পথে পরিচালনা ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারে জিয়াউর রহমানের নীতি ও চিন্তা বর্তমানেও শতভাগ প্রাসঙ্গিক।
নাছির উদ্দিন নাছির, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদ।