ঢাকা মহানগরেও বিএনপির আন্দোলনের তহবিল নয়ছয় - জনতার আওয়াজ
  • আজ রাত ৪:০২, বুধবার, ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

ঢাকা মহানগরেও বিএনপির আন্দোলনের তহবিল নয়ছয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ ৩:০৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ ৩:০৭ অপরাহ্ণ

 

কারাবন্দি নেতাকর্মী পাননি বরাদ্দকৃত অর্থ

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা মহানগরের সংগঠন নিয়ে বেকায়দায় বিএনপি হাইকমান্ড। কয়েক বছর ধরে দফায় দফায় কমিটি ঢেলে সাজানো হলেও আশানুরূপ ফল পায়নি দলটি। উল্টো আন্দোলনকালীন নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। একদিকে নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন; অন্যদিকে দায়িত্বশীল নেতাদের কেউ কেউ আন্দোলনের তহবিল তছরুপের মাধ্যমে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। কারাবন্দি ও নির্যাতিত নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়াননি তারা। আন্দোলনকে জোরদার করতে ভূমিকা না রেখে কেউ কেউ চলে গেছেন আত্মগোপনে। অবশ্য আবার সাধ্যমতো চেষ্টাও করেছেন কিছু নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার এড়িয়ে ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। অবশ্য তহবিল তছরুপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দায়িত্বশীল নেতারা।

ঢাকার বাইরে আন্দোলনের ফান্ড কর্মীদের হাতে পৌঁছেনি বলেও অভিযোগ করেছিলেন বিএনপি তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিভাগ ও জেলার দায়িত্বশীল নেতারা ওই তহবিল তছরুপ করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। ৪ মে সমকালে ‘আন্দোলনের তহবিল আত্মসাৎ বিএনপি নেতাদের’ শীর্ষক একটি সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুবিধাবাদী নেতায় ভরে গেছে। আন্দোলনের আগে বড় হাঁকডাক থাকলেও রাজপথে তাদের দেখা মেলেনি চূড়ান্ত আন্দোলনে। নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তের আন্দোলনকে গতিশীল করতে কোনো ভূমিকা পালন করেননি তারা। তবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন পদে পদে। এর মধ্যে আন্দোলন পরিচালনায় দল থেকে দেওয়া আর্থিক তহবিল তছরুপ করেছেন কেউ কেউ। নির্যাতিতদের পাশে ছিলেন না তারা। উস্কে দিয়েছেন কোন্দলকে। সবচেয়ে বড় অভিযোগ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিরুদ্ধে। আন্দোলনকালে কারাবন্দি মহানগর উত্তরের চার শতাধিক নেতাকর্মীর জন্য বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ থাকলেও তা জোটেনি বিপদগ্রস্ত নেতাকর্মীর ভাগ্যে।

মহানগর নেতাকর্মীরা জানান, শুধু মূল সংগঠন বিএনপির অনিয়মের কারণে দলের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনও নানাবিধ অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের বিরুদ্ধেও রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। সেখানেও আর্থিক অনিয়মের ঘটনা রয়েছে।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, যাদের ওপর ভর করে নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ছিলেন, তাদের আগেই গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়ায় বেশির ভাগ নেতাকর্মী হতাশ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনু, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, মনির হোসেন চেয়ারম্যানসহ আরও অনেক সক্রিয় নেতাকে তখন কারাগারে যেতে হয়েছে। তবে সেখান থেকেও কারাগার কিংবা বাইরের নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছেন আমিনুল, মজনু, তানভীরসহ অনেক নেতা। সাধ্যমতো সহায়তা করেছেন।

মহানগর উত্তর বিএনপি

আন্দোলন শুরুর আগেই একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করলে সংগঠনের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানো হয়। তখন তাঁর স্থানে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারকে। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর রাজপথের আন্দোলন শুরু করে দলটি। এর দু’দিন পরই গ্রেপ্তার হন সংগঠনের সদস্য সচিব আমিনুল হক। তাঁর স্থানে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করা হয় সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক এজিএম শামসুল ইসলামকে।

মহানগরের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, সংগঠনের প্রধান দুই নেতা কারাগারে চলে যাওয়ায় আন্দোলন পরিচালনায় বেগ পেতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে আর্থিক খাতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে অকৃত্রিমভাবে নেতাকর্মীর পাশে না থাকায় পুরো আন্দোলনে প্রভাব পড়ে।

তারা বলেন, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার আপাদমস্তক পরিচ্ছন্ন পেশাজীবী রাজনীতিবিদ। তিনি মহানগরের রাজনীতিতে একেবারে নতুন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মহানগরের কতিপয় নেতা তাঁকে ভুল পথে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, এজিএম শামসুল ইসলাম ও সদস্য সোহেল রহমান অন্যতম।

অবশ্য এজিএম শামসুল ইসলাম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আন্দোলনের সময় উল্টো নেতাকর্মীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানে কেন তাদের কাছে টাকা চাইব?

মহানগর উত্তরের নেতারা জানান, আন্দোলন পরিচালনা আর নেতাকর্মীর পাশে থাকার জন্য দলের পক্ষ থেকে মহানগর উত্তরকে অর্ধকোটি টাকার বেশি তহবিল দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি বড় অংশ ছিল কারাবন্দি নেতাকর্মীর আইনি লড়াইয়ে ব্যয়ভার বহন করতে। মহানগরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের তত্ত্বাবধানে এসব টাকা বিতরণ করা হয়। অথচ কারাবন্দি নেতাকর্মীর অভিযোগ তারা কোনো সহায়তা পাননি।

তারা জানান, শুধু কারাবন্দি নেতাকর্মীই নন, আন্দোলনে মিছিল-মিটিংয়ের টাকাও তছরুপ হয়েছে। অনেক থানা কমিটি, সক্রিয় নেতা কিংবা সংগঠনকে কোনো টাকাই দেওয়া হয়নি। অথচ এই খাতে ২৫ লাখ টাকার ওপরে ব্যয় দেখানো হয়েছে। আন্দোলন শক্তিশালী করতে জোনভিত্তিক কমিটি গঠন করা হলেও তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেননি মহানগর নেতারা। জোন নেতারা ছিলেন অন্ধকারে। নিজেদের অনুসারী ছাড়া এ টাকা কারও ভাগ্যে জোটেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসব বিষয়ে সমকাল ২০ জনের অধিক কারাবন্দি নেতা এবং থানাভিত্তিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলেছে। তারাও একই অভিযোগ করে বলেছেন, কারাবন্দি নেতাকর্মীর পাশে থাকা তো দূরের কথা, আন্দোলনে যারা হত্যার শিকার হয়েছেন, আহত হয়েছেন– তাদের পাশেও কেউ দাঁড়াননি তখন। কোনো সহায়তা করা হয়নি।

আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীরা জানান, এবারের জেলজীবন সব নেতাকর্মীর জন্য খুব কঠিন, নির্মম ও বেদনাদায়ক ছিল। দলের পক্ষ থেকে একটি টাকাও কারাবন্দি নেতাকর্মীকে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে আন্দোলনের শুরুতে মহানগর উত্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ১৯ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন। অবশ্য প্রথম এক সপ্তাহ ‘নিখোঁজ’ এবং পরে কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে। দলের নেতাকর্মীর অমানবিক কষ্ট সহ্য না হওয়ায় সহযোগিতার জন্য আকুতি জানিয়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ককে চিঠি দিয়েছিলেন। এর পরও কোনো সহায়তা মেলেনি দলের পক্ষ থেকে।

মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মো. ইউসুফ জানান, ৩৭ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করছেন। অনেকবার কারাগারে গেছেন। তবে এবারের মতো জেলজীবন তাঁর কখনও হয়নি। ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারের শুরুতে রিমান্ডের নামে নির্যাতন, পরে কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটিতে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। চার মাসের জেলজীবনে দল থেকে তাঁর খোঁজ নেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁর পরিবারের পাশেও দাঁড়ায়নি, কেউ সান্ত্বনাও দেননি।

মহানগর উত্তরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন জানান, তাঁকে ২১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর ইউনিটের আরও ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে এই দীর্ঘ সময়ের কারাবন্দিকালে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা করা হয়নি। টাকা তো দূরের কথা, তাঁর ইউনিটের কোনো নেতাকর্মীরই খোঁজ নেওয়া হয়নি। শুধু দলের অভিভাবক তারেক রহমান তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সাহস জুগিয়েছেন।

নেতাকর্মীর অভিযোগ, যেখানে পদধারী কারাবন্দি নেতাকর্মীর কাছেই আর্থিক বরাদ্দ পৌঁছায়নি, সেখানে অন্যদের কী অবস্থা– তা সহজেই অনুমেয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত তাদের সরকারবিরোধী আন্দোলন চলমান ছিল। ওই আন্দোলন পরিচালনা, নেতাকর্মীর দেখভাল করা এবং মামলা-হামলায় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দলের ফান্ড থেকে দায়িত্বশীল নেতাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই ফান্ডের বাইরে আন্দোলনের নাম করে ধনাঢ্য নেতা কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকেও চাঁদা সংগ্রহ করেন অনেকে। এর মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর (অব.) কামরুল ইসলামের কাছ থেকেও একটি বড় অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে বড় ধরনের আর্থিক তহবিল গঠন হলেও নেতাকর্মীরা ছিটেফোঁটাও পাননি।

নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলন পরিচালনা করতে বিভিন্ন থানা নেতাদেরও তেমন সহায়তা করা হয়নি। উল্টো ওয়ার্ড নেতাদের কাছে আর্থিক তহবিল চেয়েছেন মহানগর উত্তরের তখনকার ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব এজিএম শামসুল ইসলাম। তিনি ফোন করে ওয়ার্ড নেতাদের কাছে ২০ হাজার করে টাকা চেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিন মাসের আন্দোলনে তাদের মোহাম্মদপুরে মাত্র চার হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। একইভাবে কাফরুল, মিরপুরসহ আরও কয়েকটি থানার নেতারা একই অভিযোগ করেন।

টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হয়েছে এলাকাভিত্তিক। কে কোন গ্রুপের, কে কোন নেতার অনুসারী তা সামনে রেখে পাশে দাঁড়িয়েছেন মহানগরের দায়িত্বশীল নেতারা। কারাগারে আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে সেটা অনুসরণ করা হয়েছে। রূপনগর-পল্লবীর কোনো নেতাকর্মীকে আর্থিক সহায়তা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ওইসব এলাকার নেতাকর্মীরা। রূপনগর-পল্লবী মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের নির্বাচনী এলাকা। গত ১ নভেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান।

জানা গেছে, আন্দোলনে হতাহত নেতাকর্মীর পাশেও দাঁড়ায়নি দল। এর মধ্যে গত ২৯ অক্টোবর হরতালের সমর্থনে মিছিল শেষে ফেরার পথে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিএনপি নেতা আব্দুর রশীদকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা ধরে নিয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে। আন্দোলনকালে নিহত ওই নেতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারেনি দল। পরে আমিনুল হক ওই পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

অবশ্য এসব অভিযোগ করে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার সমকালকে বলেন, আন্দোলনে নেতাকর্মীর জন্য যে টাকা খরচ হয়েছে, তার প্রতিটির হিসাব রয়েছে। সেখানে কোনো সমস্যা হয়নি। কারাবন্দি প্রত্যেক নেতাকর্মীর জন্য পিসিতে টাকা দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, অসত্য।

আমিনুল হক জানান, আন্দোলনের সময় তিনি নিজেও কারাগারে ছিলেন। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। জামিনে মুক্তির পর তিনি আবার সংগঠনকে শক্তিশালী করতে, নেতাকর্মীকে সক্রিয় করতে কাজ করছেন।

মহানগর দক্ষিণ বিএনপি

আন্দোলন শুরুর পরপরই আত্মগোপনে চলে যান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। নেতাকর্মী বিচ্ছিন্ন ছিলেন পুরো আন্দোলনে। অথচ তার ওপরই বেশি ভরসা করতে চেয়েছিলেন নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। অন্যদিকে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আন্দোলনের অনেক আগেই গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীনকেও আন্দোলনের ঠিক আগমুহূর্তে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে লিটন মাহমুদ সংগঠনের হাল ধরেন।

মহানগর নেতারা জানান, আন্দোলনের মূল কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তুলনায় ঢাকা মহানগর উত্তরকে বেশি আর্থিক তহবিল দেয় দল। এতেও আন্দোলনে প্রভাব পড়ে। আন্দোলনকালে অর্থ সংকটে কারাগার কিংবা মিছিল-সমাবেশে কষ্ট করতে হয়েছে নেতাকর্মীকে। কারাগারে প্রত্যেক নেতাকর্মীর জন্য যা বরাদ্দ করা হয়েছিল– তা অত্যন্ত নগণ্য।

তারা জানান, মহানগর উত্তরের মতো দক্ষিণে আর্থিক কেলেঙ্কারি জটিল না হলেও কারাবন্দি নেতাদের পাশে আইনি সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারেনি সংগঠনের নেতারা। আন্দোলনকালে সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী কারাগারে ছিলেন। তাদের মামলা পরিচালনার জন্য অ্যাডভোকেট হোসাইন আবদুর রহমানকে প্রধান করে ১৩ সদস্যের আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়। তবে নেতাকর্মীর অভিযোগ, এসব আইনজীবীর অনেককেই তারা পাননি। যাদের পাওয়া গেছে তারাও অর্থের বিনিময়ে মামলা পরিচালনা করেছেন।

অবশ্য আব্দুস সালাম বলেন, পুরো আন্দোলনে তিনি সক্রিয় থেকে নেতাকর্মীর দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। গ্রেপ্তার এড়িয়ে কৌশলে তাঁকে এটা করতে হয়েছে।
সূত্রঃ সমকাল

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ