তারেক রহমান-এর ১৮তম কারাবন্দি দিবস - জনতার আওয়াজ
  • আজ ভোর ৫:০৬, বুধবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

তারেক রহমান-এর ১৮তম কারাবন্দি দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বৃহস্পতিবার, মার্চ ৭, ২০২৪ ১:৩৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বৃহস্পতিবার, মার্চ ৭, ২০২৪ ১:৩৭ অপরাহ্ণ

 

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, মার্চ ৭, ২০২৪ — বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ১৮তম কারাবন্দি দিবস। বাংলাদেশ বিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে ২০০৭ সালের এই দিন ভোররাতে অবৈধ এক-এগারো সরকার কর্তৃক বিনা ওয়ারেন্টে ঢাকার বাসভবন থেকে আটক হন তিনি।
শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম ও মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার বড়ো সন্তান তিনি।
নভেম্বর ২০, ১৯৬৫, জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মা বেগম খালেদা জিয়া ও ছোট ভাই আরাফাত রহমানসহ পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন তিনি।
আশির দশকে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তখনকার কিশোর তারেক রহমান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
১৯৮৮ সালে বগুড়ায় গাবতলি উপজেলা বিএনপির সদস্য হন তিনি। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু তাঁর। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশব্যাপী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিএনপির বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে আধুনিক রাজনৈতিক দল হিসেবে রূপান্তরে সৃষ্টিশীল ভূমিকা পালন করে চলেছেন তিনি। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তাঁর প্রণীত কর্মকৌশলের ফলে বিএনপি বিপুল বিজয় অর্জন করে।
এরপর দলকে শক্তিশালী ও সংগঠিত করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেন তিনি। নিজে কঠোর পরিশ্রম করতে থাকেন। দলের গ্রাম থেকে শুরু করে গ্রাম ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, পৌর ওয়ার্ড, উপজেলা, জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করেন। রাজধানী কেন্দ্রিক চিরায়ত রাজনীতিকে ছড়িয়ে দেন তৃণমূলে। সংগঠিত করেন ২৩টি ইউনিয়ন প্রতিনিধিসভা যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল অভূতপূর্ব। বিশ্বের প্রতিষ্ঠীত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো বিএনপিতে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন ও কমিটি গঠনের উদ্যোগ হাতে নেন।
তারেক রহমানের এসব কর্মকাণ্ড দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়। তিনি আবির্ভূত হন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রাণভোমরা হিসেবে।
বাংলাদেশ বিরোধী দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতিবিদ তারেক রহমানকে তাদের পথের কাটা হিসেবে চিহ্নিত করেন। শুরু হয় তারেক রহমান বিরোধী অপপচার। ঘটানো হয় এক-এগারো। এরপর তাদের প্রথম লক্ষ্যবস্তু তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। চালানো হয় বর্বর নির্যাতন। দেশের মানুষের দোয়ায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কৃপায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়ে হারনো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শান্তিপূর্ণ ও সৃজনশীল কর্মসূচির মাধ্যমে চলমান গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রকামী জনতার মুখে মুখে এখন সেই স্লোগান।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দশ দফা ঘোষণা করেছেন তিনি। ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ তিনি দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করতে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করছেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য তৈরি করেছেন।
তাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি, ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহ, সর্বোপরি সমগ্র জনতা।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ