দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে সরকার: মান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, জুন ২৬, ২০২৪ ২:৩৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, জুন ২৬, ২০২৪ ২:৩৯ অপরাহ্ণ

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কোন প্রাপ্তি নেই মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানিবন্টনসহ দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে সরকার কথা বলতে পারেনি। অন্যদিকে সরকার রেল করিডর, সামরিক সহায়তা চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘আজিজ-বেনজির-মতিউরদের অবিশ্বাস্য দুর্নীতি, মরিচের দাম বিস্ময়কর বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর দাসখত দেওয়ার ভারত সফর’ এর প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেছেন দলের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
মান্না বলেন, এবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সরকার ভারতের কাছে সমস্তকিছু সমর্পন করে এসেছেন। ৭ জানুয়ারি ভোট করতে পারতো? ২০১৪ সালে ভোট করতে পারতো? পারতো না। ভারত নাক গলিয়েছে তাই পেরেছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, মোদির শপথ নেওয়ার আগে চলে গেছেন। আবার ১৫ দিন পরেই আবার গেলেন। ছেলের বিয়ে হলেও তো মানুষ এতোবার যায় না। অনেকে বলেন, তিনি হাজিরা দিতে গেছেন। গেলেন কেন? কিছু পাওয়ার জন্য? আমাদের প্রধান দাবি ছিল, ভারত আমাদের পানি দেয় না। ৫৪টা অভিন্ন নদী আছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম আছে, এসব নদীতে বাঁধ দেওয়া যাবে না। এগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানির দাবি ছেড়ে দিয়ে এসেছেন।
ভারতের সঙ্গে রেল চুক্তি প্রসঙ্গে মান্না বলেন, যা দেওয়া হয়েছে সেটা ট্রানজিট না, করিডোর। যে ট্রেন করিডোর দেওয়া হয়েছে সেখানে যদি অস্ত্র যায়? সেনাবাহিনী যায়? আপনি তল্লাসী করতে পারবেন? বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত এখন সেভেন সিস্টার্সের রাস্তা করতে চায়।
মান্না বলেন, মতিউর যেদিন গেল সেদিনের আগে পর্যন্ত তার নামে কোন মামলা, নিষেধাজ্ঞা নেই। যাওয়ার পরে বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিল। সবগুলো আওয়ামী লীগ করে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো চুরি করে, ডাকাতি করে প্রধানমন্ত্রী। চোর, ডাকাত ছাড়া তো প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারে না। আবার বলে, এতো লোভ মানুষের। আপনার আশপাশে যারা থাকে তাদের লোভ নাই?
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটা লুটপাটকারীদের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোট ছাড়া এমপি আনার মানুষ খুন করেছিল তাও তাকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিয়েছিল। ইন্টারপোল তাকে লাল তালিকাভুক্ত করেছিল। আওয়ামী লীগ এখন ধর্ষণ, লুট করে যারা তাদের দল। আওয়ামী লীগ একসময় স্বাধীনতার লড়াই করেছিল, তাও ভালোমতো করে নাই। তাদের নেতারা কলকাতার বড় বড় হোটেলে গিয়ে লুকিয়ে ছিল।
তিনি বলেন, একজন গরিব কৃষক ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ, আর্মি প্রধানরা হাজার কোটি টাকা লুট করে কেউ দেখলো না? আজিজ, বেনজিরের পাসপোর্ট আটকে রাখা হলো না কেন? সরকার এদের রক্ষা করছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, মরিচের দাম ইদের আগে ৪শ হয়েছিল। শেখ হাসিনার আমলে মরিচ, পেয়াজের এতোই ঝাল অথচ প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মানুষ কিছু পায়। আজিজ-বেনজিররা পায়। যারা রিকশা, ভ্যান চালায় তারা কিছু পায় না। জিনিসের দাম এতোই বেশি যে পকেটভর্তি টাকা নিয়ে গেলেও বাজারের ব্যাগ ভরে না।
জনতার আওয়াজ/আ আ
