নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে জামায়াতের গণসংযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, জানুয়ারি ৯, ২০২৪ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, জানুয়ারি ৯, ২০২৪ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
নিউজ ডেস্ক
‘প্রসহন ও ডামি নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার দাবিতে রাজধানীতে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে জামায়াত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে পৃথক পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে উত্তরে রামপুরা-মালিবাগ সড়কে এবং দক্ষিণে খিলগাঁও, পল্টন, মতিঝিল, রমনা, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর, ডেমরা, সবুজবাগ, মুগদা, বংশাল, কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, চকবাজার, লালবাগ, গেন্ডারিয়া, কলাবাগান, নিউমার্কেট, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, শাহজাহানপুর, কোনাপাড়াসহ বিভিন্ন থানায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সকালে রামপুরা-মালিবাগ সড়কে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এসময় উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ৭ই জানুয়ারি দেশে কোন নির্বাচন হয়নি। বরং হয়েছে মাফিয়া সরকারের চর দখলের মহড়া। কথিত এই নির্বাচনে সরকারি দলের কোন প্রতিপক্ষ ছিল না। স্বতন্ত্র প্রার্থীর নামে দলীয় প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন নির্বাচন প্রীতিম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের ফলাফল ছিল পূর্ব নির্ধারিত। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরাজয়ও ছিল রীতিমত আই-ওয়াস। তাই এই ভোট ডাকাত সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই।
এজন্য ভোট বর্জনের গণরায়কে সম্মান দেখিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না।
একই দাবিতে রাজধানীতে বিভিন্ন সময়ে ৬৮টি সাংগঠনিক থানায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সকালে রাজধানীর খিলগাঁও গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন নেতাকর্মীরা। এসময়ে দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ৭ই জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এদিন দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী বাংলাদেশে আরও একটি ভোটারবিহীন একতরফার ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে। বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। অথচ এই ফ্যাসিস্ট সরকার সবকিছু অগ্রাহ্য করে জনগণের ৩ হাজার কোটি টাকা নষ্ট ব্যয় করে ৭ই জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করেছিল। তামাশার এই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতিই ছিলো না। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রসমূহও এই নির্বাচন নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এজন্য দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে, এই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই জনগণ তার দাবি আদায় করেই ছাড়বে- ইনশাআল্লাহ।