নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন: নুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ৮, ২০২৪ ১০:২০ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, মার্চ ৮, ২০২৪ ১০:২১ অপরাহ্ণ
জনতার আওয়াজ ডেস্ক
অবিলম্বে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার-গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, আন্দোলনের কৌশলের কোন ধাপে হয়তো আমাদের ভুল হয়েছে, আমরা হারিনি। জনগণ আপনাদের সাথে আছে। ৯৫% এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারকে বলবো, অনতিবিলম্বে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার-গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে দিন। শুক্রবার বিকালে বিজয়নগর পানিরট্যাংকি মোড়ে গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। গ্যাস, বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট ও বাজার কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি হ্রাস করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসাসহ ৫ দফা দাবিতে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করে সংগঠনটি। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, প্রেসক্লাব হয়ে পুরানা পল্টনে শেষ হয়।
গণঅধিকার সভাপতি বলেন, বাস থেকে সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশ মিলে ১ হাজার কোটি চাঁদা তোলে। যার ভাগ এমপি, মন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থরা সবাই নেয়।
প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দেয় অথচ তারাই মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেয়, সহযোগিতা করে। পুলিশ চাইলে ৭ দিনে মাদক বেচাকেনা বন্ধ হবে। কারণ মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী সবাইকে তারা চেনে। কিছুদিন আগে পুলিশ প্রধান বলেছিলেন পুলিশ সদস্যরা মাদকে আসক্ত হলে চাকরি থাকবে না। আমার বাসায় মাদকাসক্ত ডিবির ডিসি গেছে আমি সেটা লাইভে জানিয়েছি। পুলিশের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ সিন্ডিকেটের হোতারা সরকার চালায়। চিনি আমদানি করে দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠান। তাদের ধরলে চিনির দাম বাড়বে না। কতিপয় দুর্বৃত্ত আমদানি-রপ্তানির নামে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দুদক তাদের কিছু করতে পারে না। সমন্বয়ের নামে জনগণের পকেট কাটতে সরকার গ্যাস,বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বাড়াচ্ছে।
ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা,সংস্কৃতি সর্বত্র নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই ভারতের হাত থেকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে হবে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের যে আন্দোলন চলছে তা দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। ভারতীয় তাবেদার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এই আন্দোলনে যুক্ত হতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুলহক করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো, রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, ফাতিমা তাসনিম, সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সিনি.যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ সভাপতি রাকিবুল হাসান, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।