নারায়ণগঞ্জে রাতের আঁধারে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙায় বিএনপির ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, এপ্রিল ৫, ২০২৪ ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, এপ্রিল ৫, ২০২৪ ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে চাষাঢ়ায় অবস্থিত জিয়া হলের (টাউন হল) ওপরে থাকা প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন বিএনপি নেতারা।
এদিকে ম্যুরাল ভাঙার বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার (৪এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্যসচিব আবু ইউসুফসহ অন্য নেতারা। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক রাষ্ট্রপতি। রাতের আধাঁরে তাঁর ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভবনের ছাদে দুটি সিমেন্টের পিলারের ওপর জিয়ার ম্যুরাল লাগানো ছিল। সেই সিমেন্টের পিলারের রড কেটে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় হতবাক ও ক্ষুব্ধ।’
ঘটনার জন্য সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে দায়ী করে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, জিয়া হল ভেঙে সেখানে ছয় দফা মঞ্চ তৈরি করা হবে। শামীম ওসমানের নির্দেশে তাঁর লোকজনই রাতের আঁধারে জিয়াউর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলেছেন।
এ ঘটনার মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না উল্লেখ করে সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘জিয়া হল জেলা প্রশাসনের অধীন। ম্যুরাল ভাঙার বিষয়টি মুঠোফোনে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। দু-এক দিনের ভেতরে লিখিতভাবে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানাব। অবিলম্বে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল আগের স্থানে স্থাপন করতে হবে।’ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
ম্যুরাল ভেঙে ফেলার বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন।
বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মিথ্যার রাজনীতি, ব্লেইমের (দোষারোপ) রাজনীতি। এ পর্যন্ত তারা যা কিছু করেছে, মিথ্যা দিয়েই করেছে। যেহেতু তারা মিথ্যার ওপর ভর করে রাজনীতি করে, তাই তাদের নেতাদের কথার জবাব দেওয়ার মানসিকতা বা ইচ্ছা আমার নেই।’
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, জেলা প্রশাসন বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নয়।