নির্বাচনে যেতে বিরোধী দলগুলোকে চাপ দেওয়া হচ্ছে : ভিপি নুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, নভেম্বর ২১, ২০২৩ ১:২৫ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, নভেম্বর ২১, ২০২৩ ১:২৫ পূর্বাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক
‘একতরফা’ তপশিলের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী চলমান ৪৮ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরানা পল্টন সংলগ্ন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় হয়ে বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকার জনগণের কথা শুনছে না। জনগণের মতামত উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, যা তাদের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। নির্বাচনে যাওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলোকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকে ভাগবাটোয়ারার জন্য লাইন দিয়েছে। কাজেই এখন কারা দেশপ্রেমিক, কারা সুবিধাবাদী দালাল- সেটা চেনার সময়। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরও বলব- রাজপথে নামুন, নেতৃত্ব দিন, জাতি আপনাদের নেতা বানাবে।
তিনি বলেন, সরকারের হাতে এখনো সুযোগ আছে। ২৮ অক্টোবর থেকে বিরোধী দলসমূহের আটক সব নেতাকর্মীর মুক্তি দিয়ে আলাপ-আলোচনা করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করুন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। দাবি আদায়ে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমাদের পরিষ্কার দাবি, সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। হরতাল-অবরোধের পর প্রয়োজনে অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা প্রতিটা দিন হামলা-মামলা উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। দেখেন আমাদের কারও হাতে লাঠি নেই। অথচ আওয়ামী লীগ লাঠিসোটা হাতে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরাও বলছে- গজারি, লগি-বৈঠা নিয়ে রাস্তায় নামার জন্য। এভাবে তারা দেশে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কিন্তু বিরোধী দলকে উসকানির ফাঁদে পড়া যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের অনেকের নামে চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ভয় দেখিয়ে জনগণকে আর ঘরে রাখা যাবে না। জনগণ রাজপথে নেমে গেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন হবে।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আব্দুজ জাহেরের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, আনিসুর রহমান মুন্না, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বায়জিদ শাহেদ, যুবপরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিমসহ নেতাকর্মীরা।
জনতার আওয়াজ/আ আ
