পাবিপ্রবি হবে পেপারলেস বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, মে ২৪, ২০২৩ ১০:১০ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, মে ২৪, ২০২৩ ১০:১০ অপরাহ্ণ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সকল দাপ্তরিক কার্যক্রমকে পেপারলেস করার উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এখন থেকে একজন শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম থেকে শুরু করে সকল প্রকার সনদ তোলার প্রক্রিয়া হবে কাগজবিহীন। একই প্রক্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তারাও যুক্ত হবেন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দপ্তরকে অফিস অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে।
বুধবার (২৪ মে) দেশের ষষ্ঠ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ কার্যক্রমের শুরু করেছে পাবিপ্রবি। এ উপলক্ষ্যে আজ বিকেলে গ্রন্থাগার ভবনের ভার্চুয়াল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অটোমেশন সিষ্টেমের উদ্বোধনের করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
এ সময় তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। সেই লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবো, স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবো। সে লক্ষ্যে সুযোগ সুবিধার অংশ হিসেবে অফিস অটোমেশনের যাত্রা শুরু হলো। আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথমদিকে আছি যারা অফিস অটোমেশনের কাজ শুরু করলাম। এর মাধ্যমে সকল কাজ ঝামেলাহীনভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে। এতে সময় বাঁচবে, কাগজ লাগবে না। সময় ও সম্পদের সাশ্রয় হবে। হয়রানি কমবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা বাড়বে। দায়িত্ববোধের সঙ্গে সবাই কাজ করতে বাধ্য হবে। একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া যাবে। পেপারলেস অফিস হয়ে উঠবে। কাগজ লাগবে না। কাগজের জন্য গাছ কাটতে হবে না। পরিবেশের উন্নতি ঘটবে।
উপাচার্য আরও বলেন, একাডেমিক কাজ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ সবকিছু কাগজবিহীন হবে। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই সকল কাজ নিজে করতে পারবে। সকল অফিস ও বিভাগ অটোমেশনের আওতায় আসবে। অফিস অটোমেশন সিস্টেম উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে অনেক এগিয়ে গেলো বিশ্ববিদ্যালয়। এই গতি ধরে রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা সবাই দক্ষ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, অটোমেশন সিষ্টেম নিয়ে যে ভীতি কাজ করে সবার মধ্যে বাস্তবে এটি একটি সহজ প্রক্রিয়া। কেবল আমাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। শুধুমাত্র প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক দেশ এগিয়ে গেছে। আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়া উপায় নেই। বিশ্ব ব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত হতে হলে আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, বহুদিনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন আজ ঘটলো অফিস অটোমেশন সিষ্টেম উদ্বোধনের মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক ও শিক্ষাকার্যক্রম হবে পেপারলেস, কাগজবিহীন। স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হলে প্রযুক্তিকে দক্ষ হতে হবে। আজকের দিনটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক। অল্পদিনের মধ্যেই এর সুফল সবাই দেখতে পারবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অফিস অটোমেশন সিস্টেম সফটওয়্যার এডুসফ এর পরিচালক হাসান সরওয়ার সফটওয়্যারটি সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
জনতার আওয়াজ/আ আ
