প্রশাসন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, তারা একাকার হয়ে গেছে : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে সততা বলতে কোন কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, তারা একাকার হয়ে গেছে অর্থাৎ ফ্যাসিবাদের এটি হচ্ছে একটা গুণাবলি। প্রশাসন ছাড়া তারা থাকতে পারবে না। প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ এক। প্রশাসন কোন কথা বললে সেটা আওয়ামী লীগেরই কথা।
রবিবার (২৭ ফেব্রয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আব্দুস সালামের সাম্প্রদায়িক উক্তি ও নিপুন রায় চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কেরাণীগঞ্জের ওসি সম্পর্কে রিজভী বলেন, যারা ধর্মনিরপেক্ষতার ঝাণ্ডা তুলে রাজত্ব করছে তাদের প্রশাসনের কাছ থেকে এ ধরনের কথা ব্যবহার পাওয়া যাবে এটা অসাধারণ কিছু না। আমাদেরকে তা মেনে নিতে হবে। কারণ রাজনীতিতে যখন আদর্শ থাকেনা, রাজনীতিতে যখন ভন্ডামি থাকে তখন এটা হতেই পারে।
সুশীল সমাজের কড়া সমালোচনা করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে সুশীল সমাজ বলে একটি গোষ্ঠী আছে তারা কারণে-অকারণে বক্তব্য দেয়। পারলে তারা বিএনপিকে নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা করে। কোথায় আছে সেই সুলতানা? কামাল, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবির? যে নিপুন রায় চৌধুরীকে নিয়ে যে সাম্প্রদায়িকতা করেছে ওসি তার বিরুদ্ধে একটা বিবৃতি স্টেটমেন্ট তারা দিল না। কেন? এটা আজ সকলের প্রশ্ন।
গোপালগঞ্জের ছাত্রীর শ্লীলতাহানির কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গোপালগঞ্জের এক ছাত্রীকে ভীষণভাবে শীলতা হানি করা হয়েছে। সকল ছাত্র ছাত্রীরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে রাস্তা অবরোধ করেছে। সেই অবরোধের মধ্যে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা করেছে। তাহলে যারা ধর্ষণ করেছে সে ধর্ষণকারীদের সাথে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশের মানুষের বিবেক নাড়িয়ে দিয়েছে সেই গোপালগঞ্জের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঘটনায়। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার।
তিনি বলেন,’ওসি সালাম আর গোপালগঞ্জের প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য কি? কোন পার্থক্য নাই। তারা জানে রাষ্ট্রীয় আশকারা আছে।আস্কারা আছে তাই অন্যায়কারীর দের ওপর আরও নির্যাতন করছে তারা।
‘গার্মেন্টসের মালিক বাণিজ্যমন্ত্রী হলে চায়ের দোকানদার কেমন আছে সে বুঝবে কেমন করে’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বারতে আছে। বারবে তো কারণ দেশের সাধারণ জনগণ বাসলোনা মূল্য সেটা দেখার বিষয় তাদের না। নিম্নআয়ের মধ্যমা এর মানুষ মরে যাও মরে যাও টিপু মুনশি শুধু বেঁচে থাকবে তারাই রাজত্ব করবে। যে রাজত্ব হচ্ছে পিচাস আর রাজত্ব। গোপালগঞ্জের ঘটনায় মনে হয়েছে বাংলাদেশে জনপদের পর জনপদ কথা মানুষ নাই পিচাস রাজত্ব তৈরি হয়েছে। যেন সরকারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। দেশের জনগণের জানমালের কোন নিরাপত্তা নাই।
সংগঠনের আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জনতার আওয়াজ/আ আ
