বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সম্পর্কিত প্রশ্ন না রাখায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, নভেম্বর ২২, ২০২৩ ২:২৪ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, নভেম্বর ২২, ২০২৩ ২:২৪ পূর্বাহ্ণ
নিউজ ডেস্ক
সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সম্পর্কিত প্রশ্ন প্রনয়নে অনিহা প্রকাশ করায় রণকেলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আবু জাফর মোহাম্মদ ফয়সল কে কারন দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। গভর্নিংবডির সভাপতি আয়লাফ আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে ৮ টি কারন দর্শানোর জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে বিদ্যালয় গভর্নিংবডি। উল্লেখ্য যে গত ০৯\১১\২০২৩ ইং তারিখে রণকেলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শুন্য পদে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা ছিলো, ১৯ জন প্রার্ধীর মধ্যে ১৬ জন পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেন, আবেদন কারীদের মধ্যে সিলেটের স্থায়ী বাসিন্দা দুই জন এদের একজন হিন্দু একজন মুসলিম আর এ কারনে প্রধান শিক্ষক আবু জাফর মোহাম্মদ ফয়সল নিয়োগ পরিক্ষার পূর্ব থেকেই গভর্নিংবডির সভাপতি আয়লাফ আহমদ চৌধুরী, কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সহকর্মীদের বলে আসছিলেন ” একজন মুসলিম ও সিলেটি প্রার্থীকে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিতে হবে” আর এই যুক্তি দেখিয়ে তিনি উনার পছন্দের প্রার্থী শাহ নেওয়াজ নামের একজনকে নিয়োগ দেয়ার নীল নক্সা করেছিলেন। ৯ নভেম্বর নিয়োগ পরিক্ষা শুরুর পূর্বে প্রশ্ন প্রনয়নের সময় ডি জি প্রতিনিধি মোবাইল ফোন দেখে প্রশ্ন তৈরী করছিলেন নিয়োগ কমিটির সদস্য কাউন্সিল নজরুল ইসলাম এর প্রতিবাদ করে বলেছিলেন বই থেকে প্রশ্ন করার জন্য কিন্তু সেটা আমলে নেন নি ডিজি প্রতিনিধি এবং প্রধান শিক্ষক এর মৌন সম্মতি দিয়েছেন। নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি আয়লাফ আহমদ চৌধুরী নিয়োগ পরিক্ষার প্রশ্ন পত্রে ৭০ নম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সম্পর্কে নম্বরের প্রশ্ন পত্রে ১০ নম্বরের প্রশ্ন রাখার অনুরোধ করেন কিন্তু সেটা আমলে নেননি প্রধান আবু জাফর মোহাম্মদ ফয়সল ও ডিজি প্রতিনিধি অবশেষে সভাপতি জোর দাবি জানালে ৫ নম্বরের প্রশ্ন রাখা হয় , বাকি ৬৫ নম্বরের প্রশ্নদেন ডিজি প্রতিনিধি ও প্রধান শিক্ষক। নিয়োগ কমিটির এক সদস্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে প্রশ্ন রাখার অনুরোধ করলে সেটা র বিধান নেই বলেন ডিজি প্রতিনিধি এবং প্রধান শিক্ষক তাতে সম্মতি জানান। লিখিত পরিক্ষায় প্রধান শিক্ষকের পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থী শাহ নেওয়াজকে লিখিত পরিক্ষায় প্রথম দেখানো হলে নিয়োগ কমিটি পরিক্ষার খাতা মুল্যায়নের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং খাতা পুনঃ মুল্যায়নের দাবি জানালে ডিজি প্রতিনিধি ক্ষিপ্ত হন এবং প্রধান শিক্ষক সাহেবকে সাথে নিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রেখে বাসায় চলে যান। পরের দিন শুক্রবার থাকায় শুক্র ও শনি বার বিদ্যালয় বন্ধ ছিলো ,রোববার বিদ্যালয়ে সভাপতি সহ কমিটির সদস্যবৃন্দ বিদ্যালয়ে আসেন এবং প্রধান শিক্ষকের কক্ষে থাকা সিসি টিভি ফুটেজ দেখাতে বলেন প্রধান শিক্ষক তাতে সম্মত হননি। গভর্নিং বডির সভাপতি জরুরী সভা আহবান করতে বলেন এবং প্রধান শিক্ষক সভা আহবান করেন। এবং বিগত ১৩\১১\২০২৩ ইং তারিখে বিদ্যালয় গভর্নিংবডির জরুরী সভা অনুষ্টিত হয় , সভায় প্রধান শিক্ষকের বিরোদ্ধে নিয়োগ কার্যক্রম প্রভাবিত করা, বিদ্যালয়ের কমিটি অবগত না করে গাছ কেটে বিক্রি করা সহ ৮ টি অভিযোগ উল্লেখ করে কারন দর্শানোর চিঠি দিয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন প্রধান শিক্ষক আবু জাফর ফয়সল এক সময় ছাত্রশিবির এর রাজনীতি করতেন এবং এখন তিনি জামাত নেতা আর সে কারনেই তিনি হিন্দু বিদ্বেশী। তিনি আর বলেন তিনি যে প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে চেয়েছেন তিনি ও জামাত নেতা এবং সঠিক তদন্তে আরো অনেক তথ্য রেরিয়ে আসবে বলে জানান। বিদ্যালয় গভর্নিং বডির সদস্য কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক উনার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে এতোই মরিয়ে ছিলেন যে তিনি নিজেই পছন্দ করে দক্ষিন সুরমা সরকারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে ডিজি প্রতিনিধি হিসেবে এনেছেন এবং উনার পছন্দের প্রার্থী ও দক্ষিন সুরমা উপজেলার। এব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি আরো তলিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানান। প্রধান শিক্ষক আবু জাফর মোহাম্মদ ফয়সলকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এব্যাপারে মুখ খোলতে নারাজ।