বন্দি থেকে গৃহবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয় - জনতার আওয়াজ
  • আজ বিকাল ৩:২৫, বুধবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

বন্দি থেকে গৃহবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪ ৪:০৮ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: শুক্রবার, মার্চ ৮, ২০২৪ ৯:৫৮ অপরাহ্ণ

 

ডাঃ আব্দুল আজিজ

নীরবেই কেটে গেল বিএনপি চেয়ারপারসন বন্দি থেকে গৃহবন্দি সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী ৬ষ্ট কারাবন্দি দিবস। এদিন কোনো অনুষ্ঠান বা পোস্টার চোখে পড়েনি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছিল খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের ৬ষ্ট বর্ষপূর্তি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন। চিকিৎসার জন্য সাময়িক মুক্তি পেলেও তিনি এখন গৃহবন্দি রয়েছেন। আসতে পারছেন না রাজনীতিতে। হচ্ছে না তার উন্নত চিকিৎসা। মিলছে না স্থায়ী জমিন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগরে পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয়। এরপর থেকে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে বাড়িয়ে কারাগারের বাইরে নিজ বাসায় রাখা হচ্ছে তাকে।

দলের  যারা নেতা তাদের কাজটা কী? কেন সরকারের সাথে তারা ম্যাডামের মুক্তির ব্যাপারে একটা কিছু করতে পারলেন না? কেন খালেদা জিয়াকে সরকারের করুণা নিয়ে শর্তে সাময়িক মুক্তি নিতে হলো। এ দায় দলের। যারা ম্যাডামের মুক্তির পর একটি কার্যত কর্মসূচি দিতে পারেননি।

নয়াপল্টনের সামনে পান বিক্রেতা আলিমুল হক বলেন, ‘খালেদা জিয়াও কারাবন্দি, বিএনপিও কারাবন্দি। খালেদা জিয়া দলের যেসব দায়িত্ব পালন করতেন সেই দায়িত্ব পালন করার মতো যোগ্য নেতা বিএনপিতে নেই। বিএনপি বলেন আর যেকোনো অঙ্গসহযোগী সংগঠন বলেন, প্রত্যেকটাই খালেদা জিয়ার দেখতে হতো।

বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ এর একটি লেখার অংশ বিশেষ

নীহারিকার মহা ক্ষেত্রে যেখানে জ্যোতিষ্ক সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে মাঝে মাঝে এক-একটি তাঁরা দেখা যায়, তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সমস্ত নীহারিকার বিরাট অন্তরে সৃষ্টি হোমহুতাশনের উদ্দীপনা।’ গণতন্ত্রের “মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নীহারিকার মহা ক্ষেত্রে সে জ্যোতিষ্ক যিনি দেশবাসীর অন্তরে উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পেরেছেন। তার প্রতিটি কাজে প্রতিটি পদক্ষেপে প্রচ্ছন্ন হয়ে আছে বাংলাদেশ। তিনি থাকবেন বাংলাদেশের মধ্যে। বাংলাদেশ তাঁকে নিয়ে গর্ব করে। ভবিষ্যতেও করবে।

দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, ‘রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করার অন্যতম পরিণাম হলো অধমদের দ্বারা শাসিত হওয়া।

গৃহবধূ থেকে বের হয়ে রাজপথে এসেছেন দেশনেত্রী আপসহীন নেত্রী বাংলাদেশের গণমানুষের নন্দিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যেদিন প্রিয় এই নেত্রী স্বাধীন বাংলাদেশে রাজপথে আসেন সেদিন ছিল সর্বব্যাপী সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ। স্বৈরশাসনের অন্ধকারে নিমজ্জিত স্বদেশে তিনি হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা, অন্ধকারের অমানিশা দূর করতে আলোর পথযাত্রী হয়ে আবির্ভাব হয়েছিলেন গণতন্রকামী মানুষের মুক্তির মিছিলে । দীর্ঘ ৯ বছর জেল জুলুম অত্যাচার অবিচার, সহ্য করে, নিষ্ঠা ও সততা ও দক্ষতার সাথে গনমানুষের দল বিএনপির নেতৃত্ব দিয়ে তিনবার সর্বচ্চ গণরায়ে অভিষিক্ত হয়ে সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা যোগ্যতায় স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি।

১৯৮১ সালে ৩১ মে দেশি বিদেশী চক্রান্তে চট্ৰগ্ৰাম সার্কিট হাউসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদৎ বরণ করার পর জাতি যখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল, সেই দুঃসময়ে তিনি দলের হাল ধরেন। পুরো সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সামরিক শাসনের দুঃশাসনে নিপতিত। স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

দেশে আজ ভোটের অধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। স্বাধীন ভাবে কথা বলার অধিকার নেই কথিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করছে।ভোটের আগের রাতে ভোট দিয়ে বাক্স ভর্তি করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জোরকরে ক্ষমতায় ঠিক আছে, বিরোধী দলকে হামলা মামলা দিয়ে ও গুমকরে যেকোন কর্মসূচি পালনে বাঁধা সৃষ্টি করে আজ গণতন্রকে পদদলিত করে রেখেছে ,দেশের এ সঙ্কটকালে দেশবাসী তাকিয়ে আছে গণতন্রের “মা” আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম জিয়ার সংগ্রামী নেতৃত্বের প্রতি।

আজ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যা মামলায়  দণ্ড  দিয়েছে। বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে তাকে সরকার দিচ্ছে না। দেশের মানুষ চায় বেগম জিয়ার মামলা প্রত্যাহার, জনগণ চায় তার দণ্ড মওকুফ, দেশের মানুষ বেগম জিয়ার জন্য দোয়া করছে তিনি যেন সুস্থ হয়ে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শরিক হতে পারেন।

বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে ফিরে আসা মানেই নতুন স্বপ্ন দেখা- কী সেই স্বপ্ন? জীবনানন্দের ভাষায়- এই পথে আলো জ্বেলে এ-পথেই বাংলাদেশের ক্রমমুক্তি হবে , সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ এ বাতাস কি পরম সূর্যকরোজ্জ্বল/প্রায় তত দূর ভালো মানব সমাজ।

তিনি আমাদের মতো ক্লান্ত ও ক্লান্তিহীন নাবিকের হাতে তুলে দিয়েছেন এক অসাধারণ উজ্জ্বল বাংলাদেশ। সেই দিনে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি যুগে যুগে আসিয়াছি পুনঃ মহাবিপ্লব হেতু। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় শনি মহাকাল ধূমকেতু হয়ে তার আগমন ঘটেছিল। মহাপ্রলয়ের পরে মেঘমুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আত্মপ্রকাশ হয়তো আরম্ভ হবে এই পূর্বাচলে সূর্যোদয়ের দিগন্ত থেকে। আর একদিন অপরাজিত মানুষ নিজের জয়যাত্রায় অভিযানে সব বাধা অতিক্রম করে অগ্রসর হবে গণতন্ত্র ভোটাধিকার ও স্বাধীন ভাবে কথা বলার অধিকার ফিরে পাওয়ার পথে।

বন্দি থেকে গৃহবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে না, ফিরে আসবেনা মানুষের ভোটের অধিকার গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে হলে এখনই এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুথ্বান ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তকরতে পারলে দেশ বাঁচবে দেশের মানুষ বাঁচবে। কারন খালেদা জিয়া হলেন আটারো কোটি মানুষের আস্থার প্রতীক,স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ত্ব, গণতন্ত্র রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী মাদার অফ ডেমোক্রেসি । খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়, তাই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।

লিখকঃ প্রধান সম্পাদক

জনতার আওয়াজ ডটকম

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ