বাংলাদেশকে যেন মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়তে না হয়: সালমান
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৬, ২০২৩ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, মার্চ ৬, ২০২৩ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশকে যেন শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান বা অন্যান্য অনেক দেশের মতো মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়তে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনে ‘পলিসি ডায়লগ অন রোড ম্যাপ স্মার্ট বাংলাদেশ’ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই। প্রযুক্তি মনস্ক দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার দিকে এগিয়ে না গেলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কঠিন বলে মনে করেন সালমান এফ রহমান।
তাই স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে স্মার্ট সিটিজেন ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ব্যাপক কাজ করতে হবে বলে যোগ করেন তিনি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, আমরা যেহেতু গ্র্যাজুয়েশন করেছি, তাই সামনে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব দেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণ হয়েছে তাদের অনেকেই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না নেয়ার কারণে মিডল ইনকাম ট্র্যাপে পড়েছে। এটা একটা ভয়ানক ফাঁদ। ডিজিটাল বাংলাদেশের ন্যায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাস্টার প্লান কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষ কর্মী তৈরি করা। সেখানে আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। একাডেমি, ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের মধ্যে সমন্বয় করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে কাজ করতে চাই। হায়ার স্কিল ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুল থেকে কোডিং শেখানো বা কি কি কাজ আমরা করবো সেটা নিয়ে সার্বিক একটা আলোচনা করেছি।
দেশে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বেশকিছু কোম্পানি এটা নিয়ে এখন কাজ করছে। সেখানে আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে রোড ম্যাপ করা হয়েছে। গ্লোবালি এটা ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে আছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারবো।’
সালমান আরও বলেন, ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন চলে এসেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস রোবটিক্স নিয়ে কাজ করতে হবে। সারা বিশ্বে যেসব নতুন প্রযুক্তি আসছে তা ধারণ করতে পারলে কিংবা ব্যবহার করতে পারলে মিডল ইনক্যাম ট্রাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।’
স্মার্ট ইকোনমি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কী কী বাজেট সাপোর্ট দরকার তা নির্ণয়ে অংশীজনদের সাথে বৈঠক করতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকেও তাগিদ দেন তিনি। এক্ষেত্রে টেলিকম বিভাগকেও সাথে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের এখন যে মোবাইল নেটওয়ার্ক, ই-সেবা, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদির মৌলিক সফট অবকাঠামো হয়ে গেছে। এর ভিত্তিতে একটি সার্ভিস ইকো-সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে। এটি ভার্টিকালি আমরা আরও উপরে উঠাতে পারি। কেননা আমাদের মডেলগুলো সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। সবক্ষেত্রেই আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে। ফলে আমরা অবশ্যই ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারবো।’
জনতার আওয়াজ/আ আ
