বাংলাদেশের সিরিজ জয়!
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, মে ১৫, ২০২৩ ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, মে ১৫, ২০২৩ ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ

স্পোটর্স ডেস্ক
মোস্তাফিজ-হাসানের নৈপুন্যে দারূণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ২৭৫ রানে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল টাইগাররা। ফলে শেষ মূহুর্তে রোমাঞ্চে ভরা ৪ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা।
রোববার (১৪ মে) ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক তামিম ইকবালের অর্ধশতক ও বাকিদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৪৮ দশমিক ৫ ওভারে ২৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসে শেষ ওভারের শেষ বলে গিয়ে ৪ রানের হার দেখেছে আইরিশরা।
মিস্টার ক্যাপ্টেন কুল তামিম ইকবাল বেশ দারূণ বাজি ধরেছিলেন বোলিংয়ে অনিয়মিত নাজমুল হোসেন শান্তকে এনে। এর আগের ম্যাচের বিধ্বংসী ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকে শান্ত অফ-স্পিনে বাউন্ডারিতে ধরাশায়ী করেছেন। লিটন দাসের তালুবন্দি হওয়ার আগে টেক্টরের সংগ্রহ ৪৫ রান। এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে ক্রমাগত হারের পথে এগিয়ে যায় আইরিশরা। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের একাদশে জায়গা না পাওয়া মুস্তাফিজুর রহমানের ৪ শিকারে বাংলাদেশ টানা দ্বিতীয় সিরিজে জয় পেয়েছে।
তবে আইরিশ ইনিংসের ৩৭তম ওভারটাই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিতে পারত। অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা ওই ওভারে আইরিশরা পায় ২১ রান। অথচ এর আগে স্বাগতিকদের ৭৪ বলে ১০১ দরকার ছিল। সেই ধাক্কা সামলে ব্রেক-থ্রু চাওয়া ছিল টাইগারদের। শান্ত এসে সেটাই নিশ্চিত করেছেন। এরপর মুস্তাফিজ ও হাসানের বোলিং তোপ আইরিশদের কফিনে শেষ পেরেকের কাজ করেছে।
তবে তখনও নাটকীয়তার কিছুটা বাকি। ক্রিজে থাকা মার্ক অ্যাডায়ার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন টাইগারদের জয় ছিনিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তার ওপর বাড়তি পাওনা হিসেবে আসে বাউন্ডারিতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাত ফসকানো ক্যাচ।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তামিমের সঙ্গে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মত ওপেনিংয়ে নেমে ক্রিজে থিতুই হতে পারেননি রনি তালুকদার। পরপর ১২ ডট বল খেলে ১৩তম বলে চাপে পড়ে আগ্রাসী মেজাজেই বাউন্ডারি হাঁকান অভিষিক্ত এ ওপেনার। তবে পরের বলেই মার্ক এডেয়ারের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এই ব্যাটার।
তিনে নাজমুল হোসেন শান্ত, চারে লিটন দাস ও মিডল-অর্ডারে মুশফিকুর ও মেহেদী মিরাজরা ভালোই শুরু করেছিলেন। তবে তাদের কেউই বড় স্কোরের দিকে অগ্রসর হতে পারেননি। কেবল তামিমই ফিফটির দেখা পান, আর উইকেট ছুড়ে এসে সেঞ্চুরির সুযোগ মিস করে ৬ বাউন্ডারিতে ৬৯ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন দেশসেরা এই ওপেনার।
রনির অভিষেক ব্যর্থতায় শান্ত ও লিটনকে নিয়ে যথাক্রমে ৪৯ ও ৭০ রানের জুটি গড়েন তামিম। তবে তাদের বিদায়ে বাকি দুই মিডল-অর্ডার তাওহিদ কিংবা মুশফিকুরের সঙ্গে খুব একটা কেমিস্ট্রি জমেনি অধিনায়কের। আর টাইগারদের কাপ্তান ফেরার পরপরই বড় স্কোরের পথে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।
যদিও ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আশা জাগিয়েছিলেন মুশফিক ও মিরাজ। এই জুটির অবদান ৭৫ রান। এরপর জুটি ভাঙলে আর কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৭৪ রানে গুটিয়ে যায় টাইগার শিবির। শেষ দিকে ২১ বলে ১৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আইরিশদের হয়ে মার্ক এডেয়ার চারটি, জর্জ ডকরেল ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন দুটি করে এবং ক্রেইগ ইয়াং একটি উইকেট শিকার করেছেন। আর ৯ ওভারে ৬৫ রান খরচায় উইকেট শূন্যই ছিলেন আইপিএলে আইরিশদের একমাত্র প্রতিনিধি জশ লিটল।
জনতার আওয়াজ/আ আ
