বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশির রোগী
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, মে ১০, ২০২৩ ১০:২১ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, মে ১০, ২০২৩ ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

তাপমাত্রা ওঠানামায় গরম-ঠাণ্ডা আবহাওয়ার প্রভাব পড়ছে মানুষের শরীরে। গরম থেকে বাঁচতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বেশিক্ষণ থাকা এবং ঠাণ্ডা পানীয় পানের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথার মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, একদিকে গ্রীষ্মকালের গরম, অন্যদিকে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রার এই ওঠানামার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না শরীর। বিরূপ প্রভাব পড়ছে মানব শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর। এই সুযোগে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটিয়ে চলছে। আর গরমে ঠাণ্ডা পানীয় পানে শ্বাসনালির সংক্রমণ হচ্ছে। এর ফলে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগী মিলছে।
ঠাণ্ডা-গরম আবহাওয়ার পাশাপাশি কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গুতে আক্রান্তের বিষয়টিও রয়েছে। করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গুর প্রকোপ এখন কম হলেও এসবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাই সাধারণ জ¦র বা সর্দি-কাশি নিয়ে অবহেলা না করার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ এন্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, জ¦র বাড়ার দুটি কারণ। যখন তাপমাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসে তখন পরিবেশ এবং শরীরের মধ্যে বাস করা যেসব সুবিধাবাদী রোগ-জীবাণু রয়েছে সেগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ কারণে এই সময় ভাইরাসবাহিত রোগ বেড়ে যায়।
অন্যদিকে তীব্র গরমের মধ্যে মানুষ হঠাৎ করে ঠাণ্ডা পানীয় পান করে। অনেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে অবস্থান থেকে গরম দূর করার চেষ্টা করে। এ সময় ভাইরাসগুলো সক্রিয় হয়। এই অবস্থায় অনেকের টনসিল, গলায় প্রদাহ তৈরি হয়। জ¦রে আক্রান্ত হয়। বায়ুদূষণ ও পরিবর্তনের ফলে শ্বাসতন্ত্রের রোগও বেড়ে যায়। এর মধ্যে ঠাণ্ডা কাশি, গলাব্যথা, জ্বর এসব রোগ বাড়ছে। এর সঙ্গে বিদ্যমান ডেঙ্গু ও করোনার প্রভাবও আছে।
জনতার আওয়াজ/আ আ
