বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর এর নিন্দা ও প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, মার্চ ৮, ২০২২ ৩:০৪ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, মার্চ ৮, ২০২২ ৩:০৪ অপরাহ্ণ
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য শওকত আলী বকুল এর ওপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পৈশাচিক হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছে। তিনি এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
এছাড়া ঢাকা জেলাধীন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আরমান হোসেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কাশিমপুর-১ কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় কারাফটক থেকে সাদা পোশাকধারী লোকজন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাকে সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কোথাও তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। শওকত আলী বকুলের ওপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা ও তাকে গুরুতর আহত করা এবং আরমান হোসেনকে সাদা পোশাকধারীরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে যাবার পর এখনও পর্যন্ত তার কোন হদিস না দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সমগ্র দেশটাই এখন আওয়ামী ভয়াবহ দুঃশাসনের কবলে পড়ে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা উধাও হয়ে গেছে। আওয়ামী অত্যাচারের খাঁচার মধ্যে দেশের মানুষের দম বন্ধ হয়ে গেছে। আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করতেই দেশে এক ব্যক্তির শাসন জারি রেখে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হচ্ছে। হামলা, মামলা, গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা, রিমান্ডে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতনসহ নেতাকর্মীদেরকে আহত ও নিরুদ্দেশ করে দেয়া এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিত্য দিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের তান্ডবে শহর থেকে গ্রামে সাধারণ মানুষসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরার ঘটনা যেন থামছেই না। সন্ত্রাসকে লালন, দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ এবং মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের হিড়িকে বাংলাদেশে এক ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসীরা সরকারী আনুকুল্যে ছাড়া পেয়ে যাওয়ার কারণে অতি উৎসাহে বিরোধী দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। দেশ এখন সন্ত্রাস কবলিত।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য শওকত আলী বকুল এর ওপর হামলা ও তাকে গুরুতর আহত করা এবং ঢাকা জেলাধীন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আরমান হোসেনকে কারাফটক থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এখনও পর্যন্ত তার কোন সন্ধান না দেয়ার ঘটনা চলমান আওয়ামী দুঃশাসনেরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ।
আমি অবিলম্বে আরমান হোসেনকে জনসমক্ষে হাজির করার জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি শওকত আলী বকুলের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি। আহত শওকত আলী বকুলের আশু সুস্থতা কামনা করছি।