ব্যাংক খাতে আড়তদার তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক : সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, মে ১৫, ২০২৪ ৬:৩৭ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, মে ১৫, ২০২৪ ৬:৩৭ অপরাহ্ণ
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ইআরএফ আয়োজিত ‘সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে নেতাদের অবহিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, আর্থিকখাতের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণেরই নামান্তর উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্যাংক ও আর্থিক খাত তথা দেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা জানার অধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত হবে।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, তথ্য গোপন করতেই বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা তৈরি করছে। যা তথ্য অধিকার আইনের পরিপন্থী। ব্যাংক খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক আড়ৎদার তৈরি করেছে উল্লেখ করে বলা হয়, এ মালিক ৯/১০টি ব্যাংকের মালিক হয় কি করে।এই আড়ৎদারদের অনিয়ম গোপন করতে চায় আর্থিক খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এটা খুবই দুঃখজনক।
আজ বুধবার (১৫ মে) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ে নেতাদের অবহিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন ডেইলি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এডিটর শামসুল হক জাহিদ, ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন,বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ,জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার সিনিয়র সাংবাদিক সোহেল মঞ্জুর, ইআরএফের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান, এস এম রাশিদুল ইসলাম প্রমূখ আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে রুহুল আমিন গাজী বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে অলিখিত এ নিষেধাজ্ঞা স্বাধীন সাংবাদিকতা, গণতন্ত্র এবং মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থে বলে আমরা মনে করি না। এসিদ্ধান্ত লুটেরাদের রক্ষার জন্য।তিনি বলেন,যেকোনো দেশের অর্থনীতি ও গণমানুষের আস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ব্যাংক খাত বিনির্মাণ এবং এ খাতের ওপর জনগণের আস্থাকে সুদৃঢ় করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছর সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে জনসাধারণের তথ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ভূমিকা রেখে এসেছেন। এ অবস্থায় সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশ দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিতের দাবি জানান সাংবাদিকদের এ নেতা।
তিনি বলেন, দেশের ব্যাংক খাতে সাম্প্রতিক সময়ে অনিয়ম দুর্নীতি বেড়েছে। কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসব তথ্য গণমাধ্যমে আসুক সেটা চান না। এতে তারা গোপনে আরও বড় অনিয়ম করতে সুযোগ পাবেন।
ভোরের কাগজ সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, এখন ব্যাংক খাত থেকে একজন পি কে হালদার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাবেন অথচ কিছু বলা যাবে না, এটা হতে পারে না। একজন ব্যক্তি সাত থেকে আটটি ব্যাংকের মালিক কীভাবে হন? সরকারের উন্নয়নের সহায়ক ভূমিকা পালন করেন সাংবাদিকরা। সামনে বাজেট আসছে। এমন সময়ে কেনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। হলমার্কসহ সবগুলো আর্থিক অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করে সরকারকে সহযোগিতা করেছে গণমাধ্যম।
তিনি বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন এ বিষয়টি (প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা) নিয়ে কাজ করছেন। তবে আমাদেরও এ বিষয়টি শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে যে নৈরাজ্য চলছে তারই একটি অংশ হচ্ছে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে না দেওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে যে ৮ হাজার কোটি টাকা চুরি হয়ে গেছে, এতে কি চোরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসতে হয়েছে? এই ৭-৮টা ব্যাংকের মালিক একটা গ্রুপ। তারা সম্প্রতি আরও একটি ব্যাংক নিয়ে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলাও কঠিন, কারণ তাদের পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন আছে।
বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, ভল্টের সোনা চুরি, ব্যাঙ্কিং খাতের অনিয়ম,দুর্নীতি এসবের খবর যেন জনগণের সামনে না আসে এজন্যই নিষেধাজ্ঞা। তিনি বলেন,এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের কন্ঠরোধে ১৩ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল।ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা রুখে দিয়েছিলাম।
অতীতে আমরা পেরেছি এবারও আমরা পারব। যখন আমরা সকল মত-পথের সাংবাদিক ও নেতৃবৃন্দ একসঙ্গে হয়েছি আমরা পারবই। সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন,যে তথ্য নিয়ে জনগণের জন্য সংবাদ করা হয় তা কখনো তথ্য চুরি হতে পারে না। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ বিভিন্ন কালাকানুনের ভয়ে এখন অনুসন্ধানী রিপোর্ট খুব একটা পত্রিকায় দেখা যায় না।শুধুমাত্র আর্থিক খাতেই কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হচ্ছে। সেটিও বন্ধ করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়ার যে জায়গা সেটিই সাংবাদিকরা বন্ধ করে দিচ্ছে বলে আজ এই অবস্থা।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন,গত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যেসব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে, তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে। এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকারের কারণে।এটা আজ প্রমানিত যে,বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋণখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন আর সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই স্বাধীনতাকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ থেকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে গভর্নর সাহেবকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে অতিদ্রুত। মুখপাত্রের কাছে কোনো তথ্য চাওয়া হলে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিকদের প্রদান করতে হবে। যেই সংবাদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা সেই সংবাদের তো কোন প্রতিবাদ দেখা যায়নি। বরং পরবর্তীতে দেখা গেছে সেসব ব্যাংকের করুণ পরিস্থিতি হয়েছে। ফলে জনগণ তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক্কুর আলী শুভ বলেন, সাংবাদিক যদি বাংলাদেশে থাকে তথ্য তাকে দিতেই হবে। যখনি তথ্য দিবে না তখনি লুকোচুরির বিষয় থাকবে আমরা ধরে নেব। গভর্নর তো কিছুদিনের জন্য। আমাদের অধিকার আমাদেরই আদায় করে নিতে হবে। যুগে যুগে সাংবাদিকদের অধিকার আদায় করে নিতে হয়। সাংবাদিকরা কোনো ব্যক্তির জন্য কাজ করে না, তারা পুরো দেশের জন্য কাজ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অবশ্যই সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গেট বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি নেব। আমরা প্রয়োজনে প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেব।
ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছে। এই যে প্রতিনিয়ত পত্রিকায় তাদের ব্যাপারে রিপোর্টগুলো হচ্ছে এসব করে তাদের নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এই কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তারা কি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এমন করছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নাগরিক প্রতিষ্ঠান। আর নাগরিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য জনগণের পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই দ্রæতই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত।
ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, এই ইস্যুটি শুধু ব্যাংক রিপোর্টারদের জন্য না। এটি সবার জন্য। ব্যাংকে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, এর যদি সফলতা পেয়ে যায় তাহলে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শুরু করবে। আর এই হুমকি আমাদের ভবিষ্যতের জন্য ভয়ানক। টাকা ছাপিয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়ানো হচ্ছে। সরকার যদি মনে করে যে বাংলাদেশ ব্যাংকে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সরকার অনেক কিছু আড়াল করে ভালো থাকবেন তাহলে এটা ভুল। বরং সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দিলে অর্থনীতি আরও ভালো থাকবে। দুর্নীতিগুলো সামনে আসবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে। তাই সরকারের ভালোর জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা উচিত।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই যে সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞা এটি শুধু ব্যাংক রিপোর্টার বা অর্থনীতির রিপোর্টারদের সম্মান না, এটি পুরো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। আমাদের সবার উচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকে অনেক দুর্নীতির ফাইল জমা হয়ে আছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করলে তারা নিজেরাই আমাদের কাছে চলে আসবে।
সভাপতির বক্তৃতায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বলেছেন আসা-যাওয়া করতে থাকো ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দেড় মাস পার হলেও এখনো আমাদের সহকর্মী সাংবাদিক ভাইয়েরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারছে না। আগে সাংবাদিকরা যেভাবে সহজে যেকোনো অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন তা এখন পারছেন না।
তিনি বলেন, গভর্নর আমাদের বলেছেন দেশ প্রেমিক হওয়ার জন্য। আমরা তো দেশ প্রেমিক। আমাদের থেকে দেশ প্রেমিক লোক আর দেখছি না। আমাদের সহকর্মীরা বলছেন যে তাদের ফোন ট্র্যাকিং করা হচ্ছে। যা খুবই ভয়ানক ব্যাপার। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বৃহত্তর কর্মসূচিতে যেতে হবে।