ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন কন্যাসহ নিখোঁজ গৃহবধূ বগুড়ায় উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
মঙ্গলবার, জুন ১১, ২০২৪ ৮:০১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
মঙ্গলবার, জুন ১১, ২০২৪ ৮:০১ অপরাহ্ণ
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা থেকে নিখোঁজ গৃহবধূ খালেদা আক্তার রিতুকে তিন সন্তানসহ বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত রোববার সকালে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মেহেদী হাসান নামে এক যুবককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গৃহবধূর দাবি তিনি অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় আটককৃত মেহেদীকে প্রধান আসামি করে নারী শিশু নির্যাতন আইনে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। তবে মেহেদী অপহরণের কথা অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আখাউড়ার উপজেলার দ্বিজয়পুর গ্রামের আতাউর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে একযুগ আগে বিয়ে হয় গৃহবধূ খালেদা আক্তার রিতুর। তাদের ঘরে ১০ বছরের কন্যা তাবাচ্ছুম আক্তার, ৭ বছরের তানিশা আক্তার ও ৫ বছরের হুমায়রা আক্তার নামে তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ২রা জুন রিতু আখাউড়া থেকে তার বাবার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে গত শুক্রবার বিজয়নগর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে শ্বশুরবাড়ি আখাউড়ায় যাওয়ার পথে তিন সন্তানসহ নিখোঁজ হন। পরে নিখোঁজ কন্যা ও নাতিনদের সন্ধান চেয়ে রিতুর বাবা আব্দুল আউয়াল ভূঁইয়া গত শনিবার বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ওই নারীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে বগুড়া পুলিশের সহযোগিতায় বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল উত্তরপাড়া একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। খালেদা আক্তার রিতু দাবি করেন, অপরিচিত মেহেদী হাসানসহ দুই ব্যক্তি তাকে ও তার সন্তানদের অচেতন করে অপহরণ করেছিলেন। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশ তাদেরকে বগুড়া থেকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় মেহেদীকে আসামি করে গতকাল রাতে বিজয়নগর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। তবে গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী হাসান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। পরে দীর্ঘদিন ধরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি তাকে বিয়ে এবং বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেন রিতু। অন্যথায় আত্মহত্যার হুমকি দেয়। পরে ওই গৃহবধূকে পরিকল্পনা অনুযায়ী মেহেদী সিঙ্গার বিল বাজার এলাকা থেকে এসে নিয়ে যায় রিতুকে। অপহরণের ঘটনা সঠিক নয় বলে দাবি করেন মেহেদীর। বিজয়নগর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনির হোসেন জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূ খালেদা আক্তার রিতু বাদী হয়ে মেহেদী হাসান নামে যুবককে আসামি করে বিজয়নগর থানায় অপহরণ মামলা করেন। পুলিশ মামলার ঘটনাটি তদন্ত করছে। পরে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গৃহবধূসহ আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। আদালত থেকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খালেদা আক্তার রিতুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম।