রাজনৈতিক অঙ্গনে দ্রুতই পরিবর্তন আসছে : আমীর খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, আগস্ট ২৩, ২০২৩ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, আগস্ট ২৩, ২০২৩ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক
রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সাবেক মন্ত্রী। তিনি ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২৫ মার্চ ২০০৪ পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ‘স্থায়ী কমিটি’র সদস্য ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতি এবং নির্দলীয় সরকারের জন্য বিএনপির আন্দোলন বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা এবং শ্রুতিলিখন মুজাহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র চার মাস বাকি আছে। আপনারা এখনো আন্দোলন করছে। এর ভবিষ্যৎ কী বলে মনে করছেন?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে— এটাই আমাদের আন্দোলনের ভবিষ্যৎ। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে, সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে পারবে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। বাংলাদেশের মানুষ এই স্বৈরাচারী অনির্বাচিত সরকারকে বিদায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ চায় একটি নির্বাচিত সরকার। বাংলাদেশের মানুষ চায় একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার। লাখ লাখ মানুষ এই দাবির পক্ষে রাস্তায় নেমে এসেছে এবং তাদের রায় ঘোষণা করেছে।
অনেকে বলছেন, আপনাদের এবারের আন্দোলন গতি লাভ করেছে তার পেছনে অন্যতম একটি কারণ বিদেশীদের প্রভাব। এই বিষয়টাকে আপনারা কিভাবে নিচ্ছেন?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: আমার দেশের সমস্যা আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে। বিএনপির রাজনীতি বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এ দলটি সর্বপ্রথম বাংলাদেশে একদলীয় শাসন থেকে বহু দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বাংলাদেশে রাষ্ট্র চালিত অর্থনীতি থেকে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেছে বিএনপি।
অর্থাৎ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে জনগণকে নিয়ে বিএনপি গণমুখী রাজনীতি করে। সুতরাং জনগণের সমর্থন নিয়েই আমাদের রাজনীতি করতে হয়। আমাদের আন্দোলনে বিদেশিদের সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য তাদের নীতিগত অবস্থান। গণতন্ত্রকামী দেশগুলো যারা মানবাধিকার, আইনের শাসন ও জীবনের নিরাপত্তায় বিশ্বাস করে, যারা এগুলোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সমর্থন জানাচ্ছেন। তাদের সেই সমর্থন স্বাভাবিকভাবে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে। সেদিক থেকে বিদেশীদের এই অবস্থানকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য মূল আন্দোলনটা বাংলাদেশের মানুষেরই আন্দোলন।
আপনাদের আন্দোলন এখন পর্যন্ত কতটা সফল?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: আপনি যদি জনগণকে বাহিরে রেখে নির্বাচন জালিয়াতি করে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখেন তবে তার বিরুদ্ধে জনগণকে দাঁড়াতেই হবে। সরকার চায় জনগণকে নির্বাচন থেকে বাহিরে রেখে বারবার ক্ষমতা দখল করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে। জনগণ একটা পর্যায় পর্যন্ত সহ্য করেছে। কিন্তু এখন জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণ আর তা মেনে নিতে চায় না।
গোটা একটা জেনারেশন যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর হয়েছে তারা কখনোই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে একটি দল ও একটি গোষ্ঠী কাধের উপর চেপে বসেছে। এই চেপে বসা অব্যাহতভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই গোষ্ঠীকে বিদায় দেওয়ার জন্য।
তাদেরকে বিদায় হতেই হবে। দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদেরকে নিয়ে সরকার গঠিত হবে। সেই নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। জনগণের কাছে তারা জবাবদিহি করবে। সেই সময় চলে আসছে। বারবার ভোট চুরির মাধ্যমে এই ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়াকে বাংলাদেশের মানুষ এবার প্রতিবাদ নয় বরং প্রয়োজনে প্রতিরোধ করবে।
২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আপনারা প্রতিবাদ করেছিলেন। সে সময়ও আপনারা বলেছিলেন জনগণ আপনাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু ফলাফল আপনাদের পক্ষে যায়নি…
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: ২০১৪ এবং ১৮ সাল বারবার আসে না। রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিবর্তনটা খুব দ্রুত হয়। সময়ের প্রয়োজনে তা অতি দ্রুতও হয়। বাংলাদেশ সেই অতি দ্রুত হওয়ার অবস্থায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সেই পরিবর্তনটা আসছে।
আপনাদের পক্ষ থেকে আলোচনার কোন উদ্যোগ আছে কিনা?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: নিশ্চয়ই আলোচনার সুযোগ রয়েছে। গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা। আলোচনা হতে হবে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার বিষয়ে। আর জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হতে পারে একমাত্র একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই আলোচনায় যদি সরকার রাজি থাকে তাহলে আলোচনা হবে।
তাদের অধীনে যে গ্রহণযোগ্য এবং অংশীদারিত্বমূলক কোনো নির্বাচন হবে না সেটা দেশের মানুষের কাছে যেমন পরিষ্কার হয়ে গেছে তেমনি বিশ্বের কাছেও তা পরিষ্কার। এজন্য বিশ্বের গণতন্ত্রকামী সকল দেশ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত। তারা ভারত কিংবা নেপাল বা ভুটানে কেমন নির্বাচন হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত নয়। এমনকি পাকিস্তানে কেমন ভোট হচ্ছে সেটা নিয়েও তারা চিন্তিত নয়। একমাত্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তারা চিন্তিত। কারণ তাদের কাছে এটা পরিষ্কার যে বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর যাবৎ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না।
একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে বর্তমান সরকারের অধীনে সেটা সম্ভব নয়, এটা সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে যেখানে সকলের জন্য সমান সুযোগ থাকবে। নির্বাচনে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে। সবাই সমান সুযোগ নিয়ে নির্বাচন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নিরপেক্ষ কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেটি সম্ভব।
সরকার স্পষ্ট করেই বলছে নিরপেক্ষ সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে কী করবেন?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: সরকারের জন্য সেই সুযোগ নেই, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের জন্য সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। যারা জনগণের ভোট চুরি করে বারবার ক্ষমতা দখল করতে পারে তাদের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের সুযোগ থাকবে না। তাদের জন্য ভোট চুরি করার সুযোগই একমাত্র সুযোগ। কিন্তু সেটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুযোগ হতে পারে না।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুযোগ তৈরি করতে হলে একমাত্র নিরপেক্ষ সরকারই সেই সুযোগ তৈরি করবে। নিরপেক্ষ সরকার মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি সংসদে ফিরিয়ে আনার সুযোগ তৈরি করবে। ক্ষমতা দখলকারীরা সেই সুযোগ দেবে না। মানুষের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং মানুষ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদেরকে সরাতে চায়।
আপনারা কি কোনো ফর্মুলা দিয়েছেন?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: তারা যদি নিরপেক্ষ সরকারের ব্যাপারে আলোচনা করতে চায় তখন আমরা সেই ফর্মুলা দিতে পারি। তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখলের জন্য তাদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। তারা ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সামষ্টিক শাসনব্যবস্থাকে নিজেদের সুবিধামতো করে সাজিয়েছে। এসব কারো কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং তাদের তৈরি করা এসব অবৈধ কাঠামোকে ভেঙে দিতে হবে যা একটি নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত সম্ভব নয়।
সরকার বলছে, নিরপেক্ষ সরকার আসলে পাঁচ বছর থেকে যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাদের অভিমত কী?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: নিরপেক্ষ সরকার এসে দুই বছর বা পাঁচ বছর থেকে যেতে পারে এটা তাদের একটি মনগড়া কথা। যখন ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটি কীভাবে পরিবর্তন হবে। বিগত চার পাঁচটি নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিপূর্ণভাবে কাজ করেছে। সেসব নির্বাচন নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠেনি। সুতরাং আমরা আবারো সেই ব্যবস্থাটা প্রয়োগ করব সেখানে অসুবিধা কোথায়? যদি সেই ব্যবস্থার মধ্যে কোনো ত্রুটি থেকে থাকে সেই ত্রুটি সংশোধনে আমরা সকলে মিলে আলোচনা করতে পারি। ঐক্যমতের ভিত্তিতে বাংলাদেশে যখন কোনো কিছু হয়েছে সেটার কোনো ধরনের ত্রুটি বাংলাদেশে আমরা কখনো দেখিনি। সুতরাং এগুলো কোনো বিষয় নয়।
একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের সদিচ্ছা থাকলে যেকোনো প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আসা যায়। আর যদি ইচ্ছে থাকে- আবার ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করব, তাহলে অনেক ধরনের সমস্যার কথাই মনে হবে।
আপনাদের দাবি আদায়ে কতটা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন বলে মনে করছেন?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: বাংলাদেশের মানুষ তাদের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশের মানুষ তাদের নির্বাচনের অধিকার থেকে বঞ্চিত। মানুষ তাদের জীবনের নিরাপত্তার অধিকার থেকে বঞ্চিত। যেখানে আইনের শাসন নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ, যেখানে মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই এই অবস্থা একটি দেশের মানুষ কতক্ষণ সহ্য করতে পারবে?
মানুষ তাদের সহ্যের শেষ সীমায় এসে পৌঁছেছে। যার কারনে আজ লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামছে এবং এটা বাড়তে থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ যখনই একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাতে তারা জয়ী হয়েছে। আমরা স্বাধীনতা আন্দোলনে জয়ী হয়েছি, আমরা ভাষা আন্দোলনে জয়ী হয়েছি, আমরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জয়ী হয়েছি। আজ বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চায়। মানুষ ততক্ষণ এই আন্দোলন চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না পর্যন্ত এই অবৈধ, দখলদার, অনির্বাচিত সরকারকে বিদায় করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যতক্ষণ নির্বাচন না হবে ততক্ষণ মানুষ এই আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের মানুষ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। মানুষের এই সিদ্ধান্তেই সরকারের ভয়। তারা কোনোভাবেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাইবে না। কারণ তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনসমর্থন হারিয়ে তাদের সমস্ত নির্ভরতা এখন সরকারি কিছু কর্মকর্তার উপর। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা এবং কিছু দুর্নীতিবাজ লুটেরা ব্যবসায়ীর উপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতি বাংলাদেশের জনগণের উপর নির্ভরশীল। এখানেই তাদের সঙ্গে বিএনপি’র ব্যবধান।
মামলা ও হামলাকে আপনার কিভাবে মোকাবেলা করবেন?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: জনগণকে নিয়েই এগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আমি আগেই বলেছি, তাদের নির্ভরশীলতা- গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, গায়েবী মামলার উপর। তাদের নির্ভরতা নিয়ন্ত্রিত বিচারবিভাগ এবং সরকারি কর্মকর্তা ও দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের উপর। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই তাদের এই চক্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই তাদেরকে পরাজিত করা হবে। যুগে যুগে এই চক্র পরাজিত হয়েছে। এখনও তারা পরাজিত হবে।
জনগণ বনাম দুর্নীতিবাজ আমলা-ব্যবসায়ী- সরকারি রাজনীতিবিদদের নেক্সাস যখন হয় তখন জনগণই জয়ী হয় সবসময়। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের সব জায়গায় সেটাই হয়েছে। আজ যারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তারা হয়তো গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গায়েবী মামলা ইত্যাদি অপকর্ম করে কিছুটা সময় টিকে থাকতে পারে। কিন্তু একটা সময় তাদের পতন সুনিশ্চিত। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ চিরকাল টিকে থাকতে পারে না।
সরকারের প্রতি আমার বার্তা থাকবে সময় থাকতে দেওয়ালের লিখন পড়ুন। দেওয়ালের লিখন এখন না পড়লে সেটা তাদের জন্যও ভালো হবে না দেশের জন্যও ভালো হবে না। জনগণ তাদের জবাব দেবে।কালবেলা
জনতার আওয়াজ/আ আ
