রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ধারাবাহিকতার কামনা নৃত্যশিল্পী সংস্থার
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ১২, ২০২৩ ৫:১৩ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
রবিবার, মার্চ ১২, ২০২৩ ৫:১৩ অপরাহ্ণ

প্রতি বছর শিল্পকলার সকল শাখায় বিশিষ্ট গুণী শিল্পীদের একুশে এবং স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে সম্মানিত করা হয়। দেওয়া হয় তাদের অবদানের স্বীকৃতি। কিন্তু নৃত্যকলার ক্ষেত্রে পদক প্রদানে ধারাবাহিকতা রক্ষা হচ্ছে না বলে জানান বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সদস্যরা।
রবিবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলন বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মীনু হক বলেন, ‘ষোলকলার শ্রেষ্ঠকলা হিসেবে আখ্যায়িত নৃত্যকলা। প্রাচীনতম শিল্পটি বাংলাদেশের শিল্পীরা যে যার আঙিনায় থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে চর্চায় নিবেদিত প্রাণ। তাঁরা নৃত্যের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। কিন্তু প্রতি বছর শিল্পকলার সকল শাখায় বিশিষ্ট গুণী শিল্পীদের একুশে এবং স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে সম্মানিত করা হলেও নৃত্যকলার বেলায় পদক প্রদানে ধারাবাহিকতা রক্ষা হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চার বছরের বিরতি দিয়েও একুশে পদক প্রদানের নজীর আছে। স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছে মাত্র দুইবার। সংস্কৃতিবান্ধব বর্তমান সরকারের কাছে থেকে নৃত্যশিল্প এবং নৃত্যশিল্পীরা প্রতিনিয়ত যে সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে নৃত্যশিল্পী, নৃত্যজন, নৃত্যপ্রেমীরা মর্মাহত। তাই কোনো রাষ্ট্রীয় পদক প্রদানের ক্ষেত্রে যেন নৃত্যশিল্পকে গুরুত্বসহকারে সহৃদয় বিবেচনার মধ্যে রাখা হয়।’
সংগঠনের গবেষণা সম্পাদক নীগার চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যদি অনুপ্রাণিত না হই, সম্মানিত না হই তাহলে আমরা হতাশ হয়ে যাব। একজন শিল্পীর কাছে পুরষ্কার আসলে মুখ্য না। স্বীকৃতি ও সম্মান দেয়াটাই মুখ্য।’
সংবাদ সম্মেলনে সংঠনের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত অবমাননা করে এর সাথে নৃত্য পরিবেশন করায় কলকাতার নাগরিক রাভিন বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাস্তির দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলন এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার কোষাধ্যক্ষ ফারহানা চৌধুরী বেবী, নৃত্যশিল্পী সোহেল রহমান, নীপা খন্দকার, আমানুল হক প্রমুখ।
জনতার আওয়াজ/আ আ
