শরীয়তপুরে ৩০ বস্তা সরকারি সার জব্দ,তদন্ত কমিটি গঠন - জনতার আওয়াজ
  • আজ রাত ২:৩৯, বৃহস্পতিবার, ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

শরীয়তপুরে ৩০ বস্তা সরকারি সার জব্দ,তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: মঙ্গলবার, জুন ২৫, ২০২৪ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: মঙ্গলবার, জুন ২৫, ২০২৪ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ

 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
ভেদরগঞ্জে ৩০ বস্তা সরকারি সার জব্দ করার ঘটনায় দুই সদস্যেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জব্দকৃত পাট কর্মকর্তার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। সারের বস্তাগুলোতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সিল দেওয়া ছিল। সোমবার দুপুরে উপজেলার চরকুমারিয়া ইউনিয়নের মোল্লার হাট থেকে সার গুলো জব্দ করার পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও পাঠ কর্মকর্তাকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে একটি নছিমনে ৩০ বস্তা সরকারি সার মোল্লারহাট বাজারের ব্যবসায়ী মোশারফ ফকিরের দোকানে আনা হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে নছিমন বোঝাই সার রেখে চালক মনির হোসেন পালিয়ে যায় । কিছুক্ষণ পর চরকুমারিয়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দানু মিয়া হাওলাদার সারগুলো ইউনিয়ন পরিষদের জন্য আনা হয়েছে বলে গাড়িটি সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে বাঁধা স্থানীয়রা দেয় । এতে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয়। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে হাজির হয়। এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সখিপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন মোল্যা সেখানে গিয়ে জোর পূর্বক সার সরিয়ে নিতে হুকুম দিলে উত্তেজিত জনতার তোপের মুখে দৌড়ে পালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। ততোক্ষনে সেখানে কোন পুলিশ বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে হাজির হয়নি। দীর্ঘ সময় পরে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পাট কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এবং সখিপুর থানা পুলিশ। এ সময় সারের বস্তাগুলো জব্দ করে পাট কর্মকর্তার জিম্মায় তুলে দেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম। এছাড়া ঘটনার তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও পাঠ কর্মকর্তাকে সদস্য করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ।
এ ব্যাপারে সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য আয়েশা বলেন, মেম্বার দানু মিয়া হাওলাদার ইউনিয়ন থেকে সরকারি সারগুলো বিক্রির জন্য নছিমনে করে মোশারফ ফকিরের দোকানে পাঠিয়েছিলেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে আটক করে।
চরকুমারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাইজুল মোল্লা বলেন, সরকার এ সারগুলো কৃষকের কাছে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছে। কিন্তু সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন মোল্লা আর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দানু হাওলাদার মিলে সেই সার জনগণকে না দিয়ে বিক্রি করছিলেন। এর ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দানু মিয়া হাওলাদার বলেন, এই সারগুলো ইউনিয়ন পরিষদের জন্য আনা হয়েছিলো। কিন্তু গোডাউনে ঢোকার আগেই আমার প্রতিপক্ষের লোকজন গাড়িটি আটকিয়ে দেয়। মূলত আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে তারা এ কাজ করেছে।
এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এ ঘটনায় দুই সদস্যেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের ফলাফল পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ