শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল দিল্লি
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বুধবার, জানুয়ারি ৮, ২০২৫ ১২:১১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বুধবার, জানুয়ারি ৮, ২০২৫ ১২:১১ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণার পর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনে ‘শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বৃদ্ধি করল নয়াদিল্লি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দিন আগেই হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতেও বলা হয়।
বাংলাদেশের দেশের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলে রাখেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তা হলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়েও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজি কমিশন। গোটা বিষয়টিকে নয়াদিল্লির উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবেই দেখেছে ভারত। শীর্ষ কূটনৈতিক সূত্রের খবর, এই পরিপ্রেক্ষিতেই অতি সম্প্রতি শেখ হাসিনার ভারতে থাকার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়েছে মোদি সরকার।
তবে দিল্লির কূটনৈতিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ‘কূটনৈতিক’ নয়, ‘আইনি’।
কোনও অন্তর্বর্তী সরকার অন্য রাষ্ট্রের স্থায়ী সরকারের কাছে কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রত্যর্পণ চাইলে, তার সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে। ফলে, হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশের পাঠানো কূটনৈতিক বার্তার (নোট ভার্বাল) উত্তর অবশ্যই দেওয়া হবে ‘যথাসময়ে’। কিন্তু তার জন্য কোনো তাড়াহুড়া করা হবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বার্তার সব দিক খতিয়ে দেখে জবাব দিতে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে।
সূত্রের খবর, দিল্লির ‘ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের’ (এফআরআরও) মাধ্যমে আবেদন করিয়ে ভারতে থাকার কাগজ বৈধ করে নেওয়া হয়েছে। আর এ কারণে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কোনও প্রশ্নই উঠছে না ভারতের পক্ষ থেকে।
ভারতে কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত আইন না থাকায় এফআরআরও–র মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ভারতে বসবাসের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে কত দিনের জন্য এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জনতার আওয়াজ/আ আ
