শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়ায় মানুষ দুর্নীতিতে জড়াচ্ছে: প্রধান বিচারপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, জুলাই ৮, ২০২৪ ১০:৩৬ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, জুলাই ৮, ২০২৪ ১০:৩৬ অপরাহ্ণ

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
বর্তমানে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়ায় মানুষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘দুর্নীতি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন সমন্বয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য শীর্ষক বঙ্গবন্ধু চেয়ার বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের দেশে একে অপরের প্রতি রেসপেক্ট (সম্মান) কমে গেছে। কারো কথা কেউ মানে না। যে কারণে একে অপরের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে উঠেছি। এক বাহিনী অন্য বাহিনীর ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এক সংস্থা অন্য সংস্থার ওপর। যার ফলে আমরা নীতি থেকে সরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছি।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ ভারতের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম একটি প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে একটি গ্রাইন্ডার উপহার দেয়া হয়। কিন্তু তিনি তা নিতে চাননি। অনেক রিকোয়েস্টের পর গ্রাইন্ডারটি নিলেও তিনি পরদিন সেই কোম্পানিকে একটি চেক পাঠিয়ে দেন। কিন্তু কোম্পানি তার চেক ভাঙাচ্ছিল না। তখন তিনি তাদের বার্তা পাঠান যে চেক না ভাঙালে তিনি উপহারটি ফেরত দেবেন। কারণ, আব্দুল কালাম মনে করেন উপহারের পেছনে কোনো স্বার্থ থাকে। তাই আমাদের বুঝতে হবে নীতি ও দুর্নীতির মধ্যে পার্থক্য কী।’
ওবায়দুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু আধুনিক বিশ্বের একজন বলিষ্ঠ নেতা। বঙ্গবন্ধু জীবনে অনেক কথা বলেছেন। পৃথিবীর সব দেশের নেতা একই কথা বলেছেন। সেখানে অনেক মানুষ এ কথা শুনে সভ্য হয়েছেন; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কথা শুনে আমরা সভ্য হতে পারিনি। আমরা অসভ্যতে পরিণত হয়েছি।’
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বাধীনতার আগে ৫টি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। জেল থেকে তিনি তার বাবাকে চিঠি লিখেছিলেন: ‘আমাকে যেহেতু দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে, আমি আর রাজনীতি করব না।’ এ কথা তিনি কষ্ট পেয়ে বলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিচারিক কার্যক্রম শক্তিশালী হওয়ায় হাইকোর্টে তিনি সব মামলায় মুক্তি পান।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, সে সময় বঙ্গবন্ধুর মামলাগুলোর সব বিষয়ের কথোপকথন নিয়ে হাইকোর্টে একটি প্রকাশনী চালু করা হয়। সেখানে তার মামলার সব বিষয় আছে।
ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘কোনো ইবাদত কবুল হবে না, যদি আপনার রুজি হালাল না হয়। বঙ্গবন্ধু শিক্ষিত সমাজের দুর্নীতি নিয়ে সব থেকে বেশি চিন্তিত ছিলেন।’
অনুষ্ঠানে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য নিয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।
জনতার আওয়াজ/আ আ
