সাবেক বিচারপতি ও হুইপসহ ৫২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, আগস্ট ১৯, ২০২৪ ১০:৫১ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, আগস্ট ১৯, ২০২৪ ১০:৫১ অপরাহ্ণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় সাবেক বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, তার সহোদর সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ আওয়ামী লীগের ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় আরও অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন জেলার ৭নং উপশহর এলাকার শাহার উদ্দীনের ছেলে রুহান হোসেন। দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. জিন্নাহ আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আবু ইবনে রজব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক ও শেখপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ রায়হান, শহর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম রমজান।
শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ৫নং শশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী রানা, ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য রাকিবুল ইসলাম মিঠুন, যুবলীগ নেতা সিরাজুল সালেকিন রানা, যুবলীগ নেতা প্রলয় কান্তি রায় জন, যুবলীগ নেতা সুইট ও ছাত্রলীগ নেতা মিথুন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ দিকে যাওয়ার সময় আসামিদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ উসকানিতে, প্ররোচনায় ও তাদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।
এ সময় তারা দুইনলা বন্দুক, একনলা বন্দুক, বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য, পিস্তল, রিভলবার, হাঁসুয়া, সামুরাই, চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করে ও আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণসহ অতর্কিতভাবে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া চালাতে থাকে। এতে করে রাহুল, সাব্বির ইসলাম, মুসলিম, রিয়াদ, পারভেজ, জনিসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ও আহত হন। পরে রাহুলসহ অন্যদেরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভর্তিতে বাধা ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।
আহত অবস্থায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাহুলকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রাহুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
জনতার আওয়াজ/আ আ
