হাতীবান্ধায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হুমকি ও অগ্নিসংযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১০, ২০২২ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১০, ২০২২ ১১:১১ পূর্বাহ্ণ
মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করাসহ হুমকি ও তাদের বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ করা অভিযোগ উঠেছে রাসেল নামে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে থানায় অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে সঠিক বিচারের দাবীতে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার পশ্চিম নওদাবাস এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবার।
এ ঘটনায় গত রবিবার (৬ মার্চ) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা হাফিজার রহমান বাদী হয়ে রাসেলকে প্রধান আসামী করে আরও একজনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন অবদি কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (৫ মার্চ) মধ্য রাতে উপজেলার পশ্চিম নওদাবাস এলাকায় ওই শিক্ষার্থীর ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনাটি ঘটে।
প্রধান অভিযুক্ত হলেন, উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রামের আবু হানিফ ওরফে হানির ছেলে রাসেল (১৯)। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী উপজেলার পূর্ব বেজগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত রাসেল প্রায় এক বছর ধরে উত্যাক্ত করে আসছে। বিদ্যালয়ে, প্রাইভেটে যাওয়া ও আসার পথে রাসেল উত্যাক্ত করে। এমনকি রাসেল প্রায় ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির আশে পাশে ঘোরাফেরা করে। এর এক পর্যায়ে রাসেল ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি হন না ওই শিক্ষার্থীর পরিবার। পরে রাসেল ওই শিক্ষার্থীর বাবাকে ফোনে নানা ধরনের হুমকি দেন। এরই মধ্যে গত ৫ মার্চ মধ্য রাতে রাসেল ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ওই ছেলে আমার মেয়েকে প্রায় উত্যাক্ত করে। পরে বিয়ের প্রস্তাব দিলে না করে দেয়া হয়। ফলে সে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। কিন্ত এ নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও থানায় লিখিত ভাবে জানালেও কোন প্রতিকার পাইনি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে জোড় আকুল আবেদন জানাই এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচার করুক।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাসেলের মোবাইলে ফোন করা হলে ফোনটি রিসিভ করে বলেন, রাসেল নাই। তারপর আর কোন কথা বলেনি। আবারো কল করা হলে ফোনটি রিসিভ করে রেখে দেন।
এ বিষয়ে পূর্ব বেজগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মনিন্দ্রনাথ রায় বলেন, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিদ্যালয়ে এসেছিলেন। এছাড়া আমাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় সে জন্য প্রসাশনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।