১৮ জন আহবায়কের সাথে কি ধরনের অরাজনৈতিক আচরণ করা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
সোমবার, এপ্রিল ৩, ২০২৩ ২:৪৯ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
সোমবার, এপ্রিল ৩, ২০২৩ ২:৪৯ পূর্বাহ্ণ

আব্দুল আহাদ জামাল খান
ভেবেছিলাম আর লেখালেখি করবোনা। কিন্তু কিছু মানুষের অতি উৎসাহি তৎপরতা এবং বহিষ্কারের হুমকি ধামকিতে বাধ্য হয়ে আবার লিখা শুরু করলাম।
ইতিমধ্যে আমি পরিস্কার করে বলেছি নিজের পদ পদবীর জন্য নয় বরং ঘটে যাওয়া সামগ্রিক অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার এ লড়াই।
বহিষ্কারের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বহিষ্কার, শোকজ রাজনীতির একটা অংশ। এটা দেখে, দেখেই বড় হয়েছি। আল্লাহ ছাড়া কাউকে আমি ভয় পাইনা, আমাকে ভয় দেখিয়েও লাভ নেই। আমি বিশ্বাস করি ভয়কে জয় করে পথ চলার নামই রাজনীতি। আর আমি সে পথেই হাটছি।
পদ পদবী, ইজ্জত, সন্মান সব কিছুর মালিক আল্লাহ।
অনিয়ম ও পক্ষ পাতিত্বের ও একটা সীমা থাকে। নিশ্চই আল্লাহ সীমা লংঘন কারীদের পছন্দ করেননা।
দেখুন সিলেট জেলা বিএনপির সন্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন করতে যাদের সব চেয়ে বেশি অবদান ও পরিশ্রম ছিলো তৃণমূলের সেই বিদায়ী সন্মানিত আহবায়কদের সাথে কিরকম অরাজনৈতিক ও অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। কিভাবে ব্যবহার শেষে তাদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই অপমান দেখে ভবিষ্যতে আর কেউ আহবায়ক হয়ে সন্মেলন করে দেওয়ার দায়িত্ব নিবে কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে। আমরা তাদের ( আহবায়কদের) কথা দিয়েছিলাম নিরপেক্ষ সন্মেলনের স্বার্থে আহবায়ক উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি / সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হতে পারবেন না। বিদায়ী আহবায়কদের রাজনৈতিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তাদেরকে জেলা কমিটিতে সম্মানজনক মূল্যায়ন করা হবে। আহবায়করা সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কাউন্সিলে প্রার্থী হন নাই। দিন রাত পরিশ্রম করে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌর বিএনপির সন্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন করে ২৯ মার্চ ২০২২ জেলা সন্মেলন সম্পন্ন করেন। সন্মেলনর পর তারা এক বুক আশা নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন জেলা বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটিতে তাদের একটা সম্মানজনক অবস্থানের। কিন্তু গত ১৯ মার্চ ঘোষিত সিলেট জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমিটি দেখে তারা এখন কিং কর্তব্যবিমুঢ়, আর আমরা হয়েছি হতবাক। বিদায়ী আহবায়ক বৃন্দের কর্মির কর্মিরাও জেলা বিএনপির কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভ করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও অপ্রিয় সত্য যে ১৩ উপজেলা ও ৫ পৌর বিএনপির আহবায়ক এর মধ্যে মাত্র ২ জন আহবায়ক স্থান পেয়েছেন ১৫১ জনের কমিটিতে। বাকি ১৬ জন সন্মানিত আহবায়ক এর স্থান হয়নি ১৫১ জনের কমিটিতে।
এসকল পরিক্ষিত নেতৃবৃন্দকে মাইনাস করে একেক জনকে ৩/ ৪ টা করে পদ দেওয়া হলো কার স্বার্থে? এ প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?
এ অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েই যাবো। এতে যা হয় হবে তোয়াক্ষা করিনা
গুম নামক অপরাজনীতির শিকার প্রিয় নেতা ইলিয়াস ভাইকে আজ বড্ড বেশি মনে পড়ছে । তিনি প্রায়ই তার বক্তব্যে যে কথা গুলো বলতেন তা নিজের কানে বার বার বেজে উঠছে।
অন্যায়ের কাছে নত নাহি কর শির,
ভয়ে কাপে কাপুরষ, লড়ে যায় বীর।
নিজেকে বীর দাবিও করিনা, জাহিরও করিনা।
তবে দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারি কাপুরুষ নই।
এক নজরে দেখে নিন ১৮ জন আহবায়কের সাথে কি ধরনের অরাজনৈতিক আচরণ করা হয়েছে —-।
আব্দুল আহাদ জামাল খান এর ফেইসবুক থেকে

জনতার আওয়াজ/আ আ
