অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে ভোটাভুটি আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মধ্য-ডানপন্থি, সোশাল ডেমোক্রেট, বামপন্থী সহ বেশ কয়েকটি গ্রুপ তাদের যৌথ এক প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছে। ওই প্রস্তাবে তারা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অনুসরণে বেসরকারি সাহায্য সংস্থা, মানবাধিকার কর্মী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাজের জন্য একটি নিরাপদ এবং অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। ইইউ’র দাবির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার বিবেচনা করবে বলেও আশা করা হয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রশাসনিক কার্যালয় ফ্রান্সের স্ত্রাসবুর্গে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে বাংলাদেশ বিষয়ক প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সংসদীয় বিতর্কে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। প্রস্তাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার এবং বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তাছাড়া ২০২৪ সালে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে অধিকারের মামলা শীর্ষক ওই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৭টি আলাদা গ্রুপ। বুধবার প্রস্তাবটি নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ জন সদস্য বিতর্কে অংশ নেন। স্ত্রাসবুর্গের স্থানীয় সময় আজ দুপুরে প্রস্তাবের ওপর ভেটাভুটি হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করা সহ বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার প্রসঙ্গে বলা হয়, অনতিবিলম্বে অধিকারের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করার এবং সংগঠনের নিবন্ধন পুনরায় চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো অনুমোদিত বিদেশি অনুদানগুলো যাতে কাজে লাগাতে পারে সে বিষয়টিতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে।
বলপূর্বক অন্তর্ধানের অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য জিওবিকে উৎসাহিত করে; আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আদালতের শুনানিতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়ার জন্য জোর দেয়; প্রস্তাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার জন্য সরকারকে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছে। এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে উৎসাহিত করে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা তাদের প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরতে ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস, ইইউ প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর দূতাবাসকে অনুরোধ জানান।
জনতার আওয়াজ/আ আ
