আদালতকে দিয়ে জনগণের অধিকার খর্ব করছে সরকার : মান্না - জনতার আওয়াজ
  • আজ সকাল ৭:৪৮, বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

আদালতকে দিয়ে জনগণের অধিকার খর্ব করছে সরকার : মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বৃহস্পতিবার, জুলাই ৪, ২০২৪ ৫:২৫ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বৃহস্পতিবার, জুলাই ৪, ২০২৪ ৫:২৫ অপরাহ্ণ

 

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, একটা সরকারের আমলে যাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছে এ সরকারই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দিয়েছে, যাকে প্রধান সেনাপতি বানানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিয়েছে, যিনি পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কাহিনি এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এটা একটা সরকার হলো? জিনিসের দাম কমাতে পারে না, আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে অষ্টম সংসদের বিরোধীদলের প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে পুলিশি হামলায় ১৪ বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।

২০১১ সালে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে মানিক মিয়া এভিনিউতে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপের নেতৃত্বে বিএনপির সংসদ সদস্যের মিছিলে পুলিশের ন্যক্কারজনকভাবে হামলায় বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ গুরুতর আহত হন।

সংগঠনের সভাপতি মনজুর রহমান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পেনশন নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নতুন পেনশন স্কিম করেছে সেটা মানে না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ। কোনো মন্ত্রী কোনো কথা বলছেন না। আমি পত্রিকায় দেখলাম, আজকে না কি সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাদের সঙ্গে বসবেন কিন্তু পরে শুনলাম তা স্থগিত করা হয়েছে। তার মানে আমরা মাঝে মাঝে বলি না, একটা ফ্যারিঙ্গা বাজানো তৈরি করতে পারে। কোঠা বাতিল করার পরে গতকালকের মিছিল দেখেন, শিক্ষকদের ধর্মঘট দেখেন, রাজপথ আবার সরগরম হচ্ছে। আবারও বিরোধী দল মাঠে নামছে। আমি আপনাদের বলি, কেউ কেউ বলেন, ভাই আগেও বলেছেন, কিন্তু সরকার তো যাইনি। আমি মানি যায়নি, কিন্তু যাবে। সরকারকে যেতে হবে। এ সরকার থাকার সরকার নয়। এটা কোনো সরকারই নয়।

ট্রানজিট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন, ট্রানজিট দিয়েছি তাতে ক্ষতি কি? আরে ট্রানজিট তো দেননি, করিডোর দিয়েছেন। আপনার দেশ দিয়ে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশেই ঢুকবে। এই ট্রেন মালবাহীও হতে পারে, এই মালগাড়ির মধ্যে কী থাকতে পারে তা আমরা জানি না। কোনো দেশ যদি মনে করে, মালগাড়ির মধ্যে অস্ত্র আছে, আপনাদের চতুর্দিকে সেভেন সিস্টার্সের মধ্যে গোলমালগুলো চলছে, তারা যদি মনে করে এর মধ্যে অস্ত্র আছে আমরা বাধা দেব। তার মানে হচ্ছে, বাংলাদেশকে আপনারা একদিকে চীন এবং ভারতের মধ্যে যে করিডোর তাদের মধ্যে সমস্যা করে তার জায়গা তৈরি করেছেন, আরেকদিকে আপনি ওইসব এলাকায় যত সব বিদ্রোহী আছেন তাদের উসকে দিচ্ছেন। দেশের স্বাধীনতার ওপরে এটা একটা বিপদ হতে পারে।

তিনি বলেন, একইভাবে ট্রানজিটের পাশাপাশি যেরকম করে স্যাটেলাইট চুক্তি করা হয়েছে, আমার দেশের মধ্যকার সব গোপন তথ্য ভারতের কাছে চলে যাবে। কেন তার সঙ্গে চুক্তি করতে হবে? একই প্রশ্ন করি, আমাদের আনবিক শক্তি বিকাশের জন্য ভারতের সঙ্গে কাজ করতে হবে কেন? সামগ্রিকভাবে বলছেন- এটা চুক্তি নয়, কিন্তু যখন সমঝোতা স্মারক করা হয় তার মানে বুঝানো হয়, এটা চুক্তিতে গড়াবে। আমরা বলছি, এসব বাতিল করেন। পরিণতি খারাপ হবে, এক কথায় সেই পরিণতি বিবেচনা করেই আমরা বলছি, এই সমঝোতা স্মারকের পরে এগুলো আর চলবে না।

মান্না আরও বলেন, এক কথায় এই সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। এই সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, জনগণের ভরণপোষণ দিতে পারে না, ভোট দেয় না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার করে, নির্যাতন করে, এখন পর্যন্ত জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার বিচার করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। ভরসা রাখেন, আজ হোক, কাল হোক এর বিরুদ্ধে সেরকম আন্দোলনই গড়ে তুলবার চেষ্টা করছি। আমাদের যে দাবি আছে ‘তাকে চলে যেতে হবে, একটা অন্তর্বতী সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে’ সেই দাবিতে আমরা আন্দোলন করব ইনশাআল্লাহ।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ