আমরা সুসম্পর্ক চাই, অধীনতা চাই না: নজরুল ইসলাম খান - জনতার আওয়াজ
  • আজ রাত ৪:১২, বুধবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

আমরা সুসম্পর্ক চাই, অধীনতা চাই না: নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ

 

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাল বলেছেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, ভারত থেকে যুদ্ধের সময় ট্রেনিং নিয়েছি। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতাবোধ আছে, কিন্তু সেটা তো আমাদের স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু সেটাই যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, আমাদের জনগণের স্বার্থ যদি প্রশ্নের সম্মুখীন হয় তাহলে তো এই ভালোবাসা আর থাকে না। আমরা সুসম্পর্ক চাই, অধীনতা চাই না। আমাদের প্রতিবেশী তো আর বদলানো যাবে না। তাই আমরা চাই বন্ধুত্ব। তার জন্য আমাদের প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পারিক বিশ্বাস, পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তি। সেটা যেনো হয়, তা আমাদের চিন্তা করতে হবে।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ইসলামি আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপে তিনি একথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, যখনই আমাদের সরকার তিস্তা প্রকল্পে রাজি হবে, তখনই বুঝতে হবে সরকার পানি বন্টনের যে প্রসঙ্গ সেটা শেষ করে এসেছে। কারন তিস্তার পানি আসছে না বলেই তো এই প্রকল্প। আমরা যদি তিস্তার পানি পাই তাহলে তো আর আমাদের প্রকল্পের প্রয়োজন হচ্ছে না। তো আমরা যদি প্রকল্পের জন্য রাজি হয়ে যাই, তাহলে ধরেই নিচ্ছি যে আমরা তিস্তার পানি পাচ্ছি না। ভারতের একটা রাজ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ তার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে মমতা ব্যানার্জি, তিনি মুখের উপর বলে, চিৎকার বলে, চিঠি দিয়ে বলে যে আমার রাজ্যের লোকের পানি দরকার অতএব আপনি আমার সাথে কথা না বলে কোথাও পানি দিবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমার দেশ একটা স্বাধীন দেশ; তাহলে আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্য মন্ত্রী বা সরকার কেন জোর গলায় শক্ত করে বলতে পারে না যে আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে নদী প্রবাহিত হয় সেই নদীর প্রবাহ উজানে বন্ধ করার কোন অধিকার কোনো দেশের নাই। আপনারা (ভারত) যেটা করছেন সেটা অন্যায় করছেন, সেটা ঠিক করেন নাই।

তিনি বলেন, এই রাষ্ট্রটাকে দখলে রাখার জন্য কিছু মানুষ কিছু শক্তিকে লালন-পালন করছে, পোষণ করছে। এরজন্যই তারা তাদেরকে যা ইচ্ছে তা করার সুযোগ দিচ্ছে। তারপরই আমরা দেখি এই সরকারের নিযুক্ত সেনাপ্রধান- পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। এডিশনাল পুলিশ কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ, রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা একটা আন্দোলন করেছি। ওই আন্দোলনে আমরা সবাই যুক্ত ছিলাম। কখনো যুগপৎ কখনো যার যার অবস্থান থেকে তবে দাবি কিন্তু আমাদের একটাই সেটা হলো অনির্বাচিত এ গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। যাতে করে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের দাবির পরিবর্তন হয়নি। এখন যাদেরকে নির্বাচিত করবে তারা এ দেশ পরিচালনা করবে। এখন এমন একটি সরকার প্রয়োজন যার জনগণের কাছে জবাদিহিতা থাকবে। সেরকম একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এটা করতে এ সরকারকে বাধ্য করার জন্য পরে আমরা আগে করেছি তার চেয়েও তীব্রতর লড়াই আমাদেরকে করতে হবে। যতটুকু ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা লড়াই করেছি তার চেয়েও অধিক ঐক্যবদ্ধ এবং সংগঠিত লড়াই দরকার।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ