আমাদের সরকার কখনোই চায়না দ্রব্যের মূল্যের বৃদ্ধি পাক : হানিফ - জনতার আওয়াজ
  • আজ বিকাল ৪:৩৬, বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

আমাদের সরকার কখনোই চায়না দ্রব্যের মূল্যের বৃদ্ধি পাক : হানিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩, ২০২২ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: বৃহস্পতিবার, মার্চ ৩, ২০২২ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেলে দেশের মানুষ কষ্ট পায়, আমাদের সরকার কখনোই চায়না দ্রব্যের মূল্যের বৃদ্ধি পাক। আমরা চাই দ্রব্য মূল্য স্থিতিশীল থাকুক, দেশের মানুষ ভালো থাকুক।’

বৃহস্পতিবার ( ৩ মার্চ) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে দুইদিনব্যাপী বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বিএনপি জামায়াত পাকিস্তান থেকে সরে আসতে পারেনি। তারা কিন্তু এখনো পাকিস্তানের ভাবধারায় আছে। নিজামীসহ বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির সময় পাকিস্তানের পার্লামেন্টে থেকে নিন্দা প্রস্তাব করা হয়েছিল। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিল কাদের মোল্লা ও নিজামী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের অকুতোভয় সৈনিক ছিল। নিজামী কিন্তু পাকিস্তানের বেসামরিক সর্বোচ্চ খেতাবও পেয়েছিল। এটার মাধ্যমে প্রমাণ করে বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের ভাবধারায়।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিএনপি জামায়াত যে পাকিস্তানির সৈনিক ছিল তাই শুধু নয়, এখনো তারা পাকিস্তানের ভাবধারায় কাজ করে যাচ্ছে। এই কারণে শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রগতি বিএনপির পছন্দ হয় না। দেশের মানুষ ভালো থাকুক তারা চায় না, এজন্য উন্নয়ন-অগ্রগতির বাধাগ্রস্ত করতে চায়। এরা চায় দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকার পতন করতে। সরকারকে পতন করতে পারলেই পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশের ক্ষমতা দখল করবে এটি তাদের মূল উদ্দেশ্য। বিএনপি জানে জনগণের ভোটে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ বিএনপি দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত। তাই তারা জনগণের ভোট আশা করে না।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপি নেতারা হচ্ছে কানকাটা, তাদের কোনো লজ্জা শরম নেই। গ্রামাঞ্চলে একটা কথা আছে, এক কানকাটলে রাস্তার পাশ দিয়ে যায়,আর দুই কানকাটলে যায় বাড়ির উপর দিয়ে, বিএনপি নেতাদের অবস্থা হচ্ছে সেই রকম। তারা হচ্ছে দুই কানকাটা নেতা, তাদের কোনো লজ্জা শরম নেই।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির নেতারা বলেছেন এ চোর ও চোর। কাউকে চোর বলার আগে নিজেদের চেহারাটা আয়নায় একবার দেখুন, আপনাদের চোরের প্রতিছবি দেখা যায় কিনা। কারণ আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরির দায়ে জেলে যেতে হয়েছে। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ালু ও মহানুভবতায় বাসায় থাকার সুযোগ পেয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির আরেক দণ্ডপ্রাপ্ত নেতা তারেক রহমান, সে তো বড় সন্ত্রাসী ও চোর, চোর হিসেবে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। সেই চোরের দলের নেতারা আবার কিভাবে অন্যদের নিয়ে কথা বলে। আসলে চোরের মার বড় গলা সেটা হলো বিএনপি।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার আগে আমাদের (আওয়ামী লীগ) অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। দেশে এখন শান্তি বজায় আছে, একারণেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু এই উন্নয়ন-অগ্রগতি একটি দলের ভালো লাগেনা।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান কথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা হলেও ভিতরে ভিতরে তার কর্মকাণ্ড ছিল পাকিস্তানী ভাবধারায়। পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নে অনেক দূর এগিয়ে গেছে এটা বিএনপির পছন্দ হয় না, ভালো লাগেনা। শেখ হাসিনার এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তাদের গা জ্বালা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি হচ্ছে পাকিস্তানের ভাবনার সৃষ্টি। বিএনপি দলটি ছিল পাকিস্তানের একমাত্র পরিচালিত দল। যারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, সেই রাজাকার, আল সামস, আলবদরদের আশ্রয় স্থল পাকিস্তান।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকতে হবে। নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত হয়ে আরো শক্তিশালী হতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি জামায়াত ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নামতে পারবে না।

সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মায়,সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর,তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন আহম্মদ,সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল,চাদপুর ৪ আসনের এমপি শফিকুর রহমান, চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুলসহ অন্যরা।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com