কমেছে মাছ-মুরগি-চালের দাম, বোতলজাত সয়াবিন সংকটে
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫ ৩:৫৯ অপরাহ্ণ

জনতার আওয়াজ ডেস্ক
রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে মাছ, মুরগির দাম। পবিত্র শবেবরাত ঘিরে গেল সপ্তাহে বাজারে বাড়ছি চাহিদা অনুযায়ী মাছ ও মুরগির দাম বেড়ে যায়। তা এখন কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মোটা চালের দামও বস্তাপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা কমেছে।
শীত মৌসুম শুরু পর থেকেই পেঁয়াজ, আলু ও প্রায় সব ধরনের সবজির দরে স্বস্তি ছিল। এখনো সবজিতে সেই রকম দামই চলমান রয়েছে। তবে রমজানের আট দিন বাকি থাকলেও সয়াবিনের সংকট কাটেনি। বাজারে এখনো ফেরেনি উধাও হওয়া ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল। সংকট রয়েছে ১ ও ২ লিটারের বোতলেও। তবে চিনি, ছোলা, ডালের দাম কমতির দিকে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা, খিলক্ষেত ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে মুরগির চাহিদা কিছুটা কমায় কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মানভেদে ২৮০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
দাম কিছুটা কমে পাঙ্গাশ মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বড় তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নলা মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং তিন থেকে চার কেজি ওজনের রুই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট মাছের মধ্যে চাষ করা কৈ মাস প্রতি কেজি ২২০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বড় গুলশা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল ব্রি-২৮, পাইজাম ও স্বর্ণা চাল বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। চিকন চাল (মিনিকেট) আগের চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, দেশি নতুন রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকা, ছোলা মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনো শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। শিম মানভেদে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা ও মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা।
জোয়ারসাহারা বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, এক সপ্তাহ ধরেই আড়তে মাছের দাম কিছুটা কমতির দিকে। এতে আমরাও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি।
এদিকে তেলের ব্যাপারে বিক্রেতারা বলছেন, গত নভেম্বর থেকেই বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। মাঝের সময়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর পরে সরবরাহের সংকট কিছুটা কমেছিল। তবে রোজাকে সামনে রেখে চলতি মাসের শুরু থেকে আবারও তীব্র হয়েছে এ সংকট।
খিলক্ষেত বাজারের মুদি বিক্রেতারা জানান, ‘দোকানে এক লিটারের পাঁচটি ও পাঁচ লিটারের দুইটি সয়াবিনের বোতল আছে। যেসব ক্রেতা আগে থেকে বলে রেখেছেন, তাদের কাছেই এগুলো বিক্রি করব। নতুন কাউকে দিতে পারছি না।’ একই অবস্থা দেখা গেছে আরও কয়েকটি বাজারেও।
জনতার আওয়াজ/আ আ
