কৃষি মার্কেটে অগ্নিনিরাপত্তা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক
আগুনে পুড়ে যাওয়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিনিরাপত্তা ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক তাজুল বলেন, ‘মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ফুটপাত ও সড়কে দোকান থাকা ও মানুষের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়েছে। এখানে পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুর নতুন বাজারে (কৃষি মার্কেট) আগুন ধরার খবর পেয়ে ৯ মিনিটের মাথায় আমরা এখানে চলে আসি। ৩টা ৫২ থেকে আমরা এখানে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করি। আমরা ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। ১৭টি ইউনিটে ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করেছে। আমাদের সাথে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী সহযোগিতা করেছে।’
ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগুন লাগা এই মার্কেটটিতে কোনো সেফটি প্ল্যান নাই। এই মার্কেটটিতে বারংবার নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং বিভিন্নভাবে গণসংযোগ করা হয়েছে। সচেতনতার প্রোগ্রাম যেভাবে আমরা করেছি, সেভাবে তারা সাড়া দেয় নাই। এই মার্কেটটা কিছুটা বঙ্গবাজার টাইপের। এখানে ভেতরে অনেক সাবওয়ে ছিল। ভেতরে যতগুলো রাস্তা এবং বাইরের যে ছোট ছোট রাস্তা, পুরোটাই বিভিন্ন মালামালে দিয়ে গাদাগাদি করে রাস্তাটা বন্ধ করা ছিল এবং পুরো মার্কেট টাইট কলাপসিবল গেট দিয়ে আটকানো ছিল।’
তিনি বলেন, ‘এখানকার নাইট গার্ড যারা ছিলেন, তারা বাহিরে ছিলেন। তাদের খুঁজেই পাওয়া যায়নি তেমন একটা। আমাদের বেগ পেতে হয়েছে ভেতরে ফায়ার ফাইটারদের প্রবেশ করতে। তালা ভেঙে এবং কলাপসিবল গেট ভেঙে আমাদের ভিতরে যেয়ে তারপর আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করি। এ মার্কেটের বাইরেও বিভিন্নভাবে রাস্তাগুলো দখল করা ছিল। দোকানের সামনে ছোটখাটো দোকান আমাদের একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর জন্য আমাদেরকে বেগ পেতে হয়। আমরা আসার পরই আগুনের মাত্রা অনেক বেশি দেখেছি। একটা পর্যায়ে মার্কেটের প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ সম্পূর্ণ আগুন ধরে যায় এবং আমরা চেষ্টা করি এই মার্কেটের ভেতরে যেন আগুনটা আবদ্ধ থাকে। আমাদের ফায়ার ফাইটাররা সর্বাত্মক চেষ্টা করে আগুনটাকে একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখতে পেরেছে।’
জনতার আওয়াজ/আ আ
