গদি বাঁচাতে মরিয়া মোদি!
নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ:
শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ:
শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শূন্যরেখার কাছাকাছি কাঁটাতারের বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের উত্তেজনা না কাটতেই এবার লাদাখ ইস্যুতে চীনের সাথেও শুরু হয়েছে উত্তেজনা। একদিকে সীমান্ত ইস্যু অন্যদিকে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানিতে জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াকে কেন্দ্র করেও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে দেখা দেয় টানাপোড়েন।
একদিকে বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্কে জোর দিচ্ছে চীন। অন্যদিকে ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক ঘাঁটি থাকার বিষয়টিও ভাবাচ্ছে ভারতকে। তাছাড়া ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে চলমান সংকটে সেখানে দেখা দিয়েছে নতুন করে জন্ম হতে পারে আরেকটি রাষ্ট্র। এর কোনটিরই এখন পর্যন্ত সমাধান দিতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি সরকার।
তাছাড়া স্মরণকালের ভারতীয় রূপির দরপতন দেশটিকে ভাবাচ্ছে, ভারতের অর্থনীতি মোদি সরকার কতটুকু সামাল দিতে পারবে। অন্যদিকে ধর্মীয় এবং সাম্প্রতিক ইস্যুতে মণিপুর সহিংসতার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি চলমান রয়েছে দেশটিতে। যেগুলো সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মোদি সরকার।
অন্যদিকে উগ্র হিন্দুত্ববাদকে প্রাধান্য দিচ্ছে মোদি সরকার। যা বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর ক্ষোভের সঞ্চার করছে। সর্বশেষ ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় বিতর্কিত রামমন্দির স্থাপন করেও নির্বাচনে তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি মোদি সরকার।
গত কদিন আগেই কানাডায় শিখ নাগরিক হত্যার তীর ছুটে মোদি সরকারের দিকেই। ধারণা করা হয় স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জেরেই হত্যা করা হয় শিখ নাগরিককে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন এত চতুর্মুখী চাপ নিয়ে টিকতে পারবে তো মোদি সরকার? গেল কদিন আগেই হোয়াটসআ্যপে মোদিকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়। যেটাকে পরে ভারত দাবি করে মামলুক হুমকি। তো এত কিছুর পরে এখন একটাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এত কিছুর পরে কি টিকে থাকতে পারবেতো মোদি সরকার?
জনতার আওয়াজ/আ আ
