জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক তারেক রহমান - জনতার আওয়াজ
  • আজ বিকাল ৩:১৮, বুধবার, ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি
  • jonotarawaz24@gmail.com
  • ঢাকা, বাংলাদেশ

জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতার আওয়াজ ডটকম
প্রকাশের তারিখ: সোমবার, নভেম্বর ২১, ২০২২ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ পরিবর্তনের তারিখ: সোমবার, নভেম্বর ২১, ২০২২ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ

 

আশিক ইসলাম

তারেক রহমান। একটি আশা, একটি ভালোবাসা, একটি অধ্যায়, একটি পুর্ণ প্রতিষ্ঠানের নাম। একজন ভিশনারি নেতা। সফল সংগঠক। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীকের নাম তারেক রহমান। যিনি তাঁর আপন কর্মে, ন্যায় নিষ্ঠা, সততা আর অপার পরিশ্রমে বাংলাদেশের মানুষের নয়নের মণিতে পরিনত হয়েছেন।
দেশপ্রেমী বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আলোর পথ দেখাতে, সুসংগঠিত করার কাজে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। দু’হাত প্রসারিত করে শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে ছুঁয়েছেন। হৃদয় দিয়ে মানুষকে অনুভব করেছেন। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল পর্যায় থেকে মজবুত ভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছেন উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি। আগামী দিনের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো উজ্জ্বল বাংলাদেশের ছবি এঁকে দিতে চেয়েছেন সকলের চোখে। যে স্বপ্ন অলীক নয়, বাস্তবে সম্ভব। তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিবে সবচ্ছলতা’।
এ কারণেই তারেক রহমান ছুটে গেছেন উদ্যোগী উদ্ভাবনী পরিশ্রমী তরুনের পাশে। অভাবী মেধাবি শিক্ষার্থী, দিনমজুর, কৃষক আবার সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের কাছে। বাড়িয়ে দিয়েছে সহযোগিতার হাত। উষ্ণতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শীতার্ত হতদরিদ্র মানুষের পানে। থেকেছেন অসহায় আর্ত-পীড়িতের পাশে। মেডিক্যাল ক্যাম্প করে অন্ধের চোখে আলো দিয়েছেন। ছাগল, হাঁস, মুরগি বিতরণের মধ্যদিয়ে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সারা বাংলাদেশে শুরু করেন দারিদ্র বিমোচন কর্মসুচি। একই কর্মসুচির আওতায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জলাধার পরিস্কার করে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। বাল্য বিবাহ এবং যৌতুক নিরুৎসাহিত করতে জন সচেনতা গড়ে তুলেন। যৌতুক বিহীন অসংখ্য বিবাহের ব্যবস্থা করেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমান প্রথম রাজনৈতিক নেতা, যিনি বিশ্বাস করেন রাজনীতির জন্য চাই আধুনিক গবেষণা, সঠিক তথ্য-উপাত্ত পরিসংখ্যান কেন্দ্র। দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হলে, দলের সকল স্তরে চাই ঐক্য, শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা। মানুষের কল্যাণে নুতন আইডিয়া গ্রহণে চাই উদার মানসিকতা। প্রবীণের সাথে তরুণের সংমিশ্রণে চাই গতিশীল উন্নত বাংলাদেশ। পিতার আদর্শে, তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, দেশের প্রতিটি মানুষের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করতে হবে। সামাজিক বৈষম্য দূর করে সকলে মিলে স্বচ্ছল বাংলাদেশ গড়তে হবে। আর তাই তারেক রহমানকে দেখা যায়, নয়া কৃষি আন্দোলনে। তাঁর উৎসাহে উদ্ভাবিত হয়েছে ‘কমল’ নামক অধিক ফলনশীল ধান বীজ। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে স্থাপিত হয়েছে ‘কমল পানি’ প্রকল্প। বায়ু দূষণ এবং পরিবেশের ভারসম্য উন্নয়নে দেশব্যাপী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, এবং একই সাথে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন-জেডআরএফ-এর মাধ্যমে ২০০৪ সালে থেকে সামাজিক বনায়ন কর্মসুচি শুরু করা হয়। বছরের বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্য ক্যাম্প, এজমা কেয়ার সেন্টার, ২০০৩ সালের ১৪ মে বগুড়ায় এবং ২০০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ‘এজমা কেয়ার এন্ড প্রিভেনশন সেন্টার’ গঠন করে নাম মাত্র মূল্যে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। দেশব্যাপী প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্প, বন্যা পুনর্বাসন, শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্প, বয়স্ক শিক্ষা, শিশু শিক্ষা, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন, ক্রীড়াঙ্গন কোথায় নেই তারেক রহমানের দীপ্ত পদচারণা? দেশের তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে বাংলাদেশে এনেছিলেন মাইক্রোসফট’র প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে।
তারেক রহমানের চিন্তা চেতনা অত্যন্ত স্বচ্ছ, আধুনিক এবং বাস্তবমুখী। ‘রাজনৈতিক দর্শন যার যার, বাংলাদেশ আমাদের সবার’ এই চিন্তা, এই মূলমন্ত্রের বীজ তারেক রহমান যখন সকলের মাঝে তুলে ধরতে ব্যস্ত তখন দেশে নেমে আসে ১/১১’র কলঙ্কিত অধ্যায়। দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির সকল স্তরের নেতা-কর্মী। ওরা চেয়েছিলো তারেক রহমানকে হত্যা করতে। চেয়েছিলো তারেক রহমানকে চির জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিতে। ওরা চেয়েছিলো তারেক রমানের চরিত্রে কলঙ্কের কালিমা লেপন করতে। ওরা দেশের মানুষকে ধোকা দিয়েছিলো। ওরা তারেক রহমানের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। অসংখ্য মামলা দিয়েছে। দেশ ছাড়া করেছে। কিন্তু একটি মামলাও প্রমাণ করতে পারেনি গত ১৫ বছরে। গ্রহণযোগ্য প্রমাণ দিয়ে তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারিনি। বরং দেশের মানুষের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে তারেক রহমান সুস্থ আছেন। দূরে থেকেও আজ দেশের মানুষের অতি আপনজন তিনি। অতি কাছের মানুষ তিনি।
দেশপ্রেম, ন্যায়নিষ্ঠা, সততা, স্বচ্ছতা আর পরিশ্রম গুণে তারেক রহমান আজ দেশপ্রেমী মানুষের অন্তরে। জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতিটি সৈনিকের পাশে। প্রতিটি নেতা-কর্মীর হৃদয়ে। শ্লোগান, পোস্টার আর ব্যানারে দেয়ালে। অবৈধ সরকার বিরোধী আত্মবিশ্বাসী প্রতিটি বজ্রকন্ঠে। মিছিলে, মাইকে, জনসভায়। মানুষের আশায়, ভালোবাসায়। জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যে, মননে, মস্তিষ্কে। হৃদয়ে আবেগে অনুভবে। ভালোবেসে মানুষ তাকে ডাকেন ‘দেশনায়ক’। জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক।
২০ নভেম্বর ২০২২ তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন। অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। ইনশাআল্লাহ্‌ আগামী জন্মদিন দেশবাসী পালন করবে নেতাকে সাথে নিয়ে একত্রে।
লেখক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব।

Print Friendly, PDF & Email
 
 
জনতার আওয়াজ/আ আ
 

জনপ্রিয় সংবাদ

 

সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদ